মাধ্যমিক বিদ্যালয় কতৃপক্ষের বিরুধে জমি জবর দখলের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
সোমবার, মার্চ ৭, ২০২২ ৭:৪১ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
সোমবার, মার্চ ৭, ২০২২ ৭:৪১ পূর্বাহ্ণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গোসাইরহাট উপজেলার পাচকাঠি গ্রামের অসহায় এক ব্যক্তির জমি হাটুরিয়া জিয়াউর রহমান আহাদ মিঞা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কতৃপক্ষ জবর দখল করে স্কুল নির্মান করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অসহায় ভুক্তভোগী বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। প্রধান শিক্ষক জবর দখলের কথা অস্বীকার করছেন।
সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গোসাইরহাট উপজেলার পাচকাঠি গ্রামের দরিদ্র অসহায় কুদ্দুছ সিকদার হাটুরিয়া বাজারে চৌরাস্তা মোড়ে । ৫৯ নং পাচকাঠি মৌজার ৪৪২নং এস এ খতিয়ান ভুক্ত ৭৬৩ নং দাগের ২৪ শতাংশ জমি বিআরএস জরীপে ১৬৪৭ ও ২৪৬,৫৩৪নং খতিয়ানে ১২০৪,১২০২ও ৮২৭ নং দাগে ২টি দোকান ঘর তুলে ব্যবসা বানিজ্য করে আসছেন।উক্ত জমি তিনি ক্রয় সুত্রে মালিক হয়ে প্রায় ৭০ বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছেন। এরমধ্যে হাটুরিয়া বিদ্যালয়ের জন্য চাপের মুখে ২০০৪ সালে .০৬ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি করে লিখে নেয়। বর্তমানে ঐ জমিতে স্কুলের একাডেমী ভবন নির্মাণ করার জন্য কাজল চলছে। সেখানে কুদ্দুছ সিকদারের জন্য মাত্র ৩ শতাংশ জমি রেখে বাকী জমি স্কুল কতৃপক্ষ জবর ধখল করে একাডেমী ভবন নির্মান করছে। পাশাপাশি প্রাচীর নির্মান করে কুদ্দুছ সিকদার কে ঐ জমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য পায়তারা করছে। তিনি বাধা দিলে তারা বাধা মানেনি।এ ব্যাপারে কুদ্দুছ সিকদার জেলা প্রশাসক শরীয়তপুর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোসাইরহাট, সহকারী কমিশনার ভুমি ও ওসি গোসইরহাট এর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে কোন প্রতিকার পায়নি তিনি। পরিশেষে ১৫ ফেব্রুয়ারী সহকারী জজ আদালতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা দায়ের করেন। আদালত আবেদন গ্রহন করে স্কুল কমিটির সদস্য ও প্রধান শিক্ষকের উপর নিষেধাজ্ঞার নোটিশ জারি করেছে। এরপরেও কাজ বন্ধ করেনি স্কুল কতৃপক্ষ । তারা জোর করে অন্যের জমিতে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্কুলের একাডেমী ভবন নির্মান করেই চলছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কুদ্দুছ সিকদার বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৭০ বছর যাবত এ জমি আমরা ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে দোকানপাট করে ভোগ দখল করে আসছি। আমরা গরীব মানুষ দোকান দিয়ে ব্যবসা বানিজ্য করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি। স্কুল কমিটি আমার থেকে ৬ শতাংশ জমি চাপের মুখে কিনে পুরো জমি দখল করার পায়তারা করছে। ইতিামধ্যে তারা আমার জায়গা জুড়ে দালান করছে। আমি বিভিন্ন স্থানে বিচার চেয়ে বিচার পাইনি। পরিশেষে আদালতে মামলা করি। আদালত এ জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে নোটিশ দিয়েছে। তারা আদালতের আদেশ অমান্য করে দালান নির্মান করছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
হাটুরিয়া জিয়াউর রহমান আহাদ মিঞা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরমোহাম্মদ বলেন, আমরা আমাদের স্কুলেল নামে রেকর্ডীয় জমিতে দালান নির্মান করছি। কারো জমি দখল করিনি। ওনার এসএ ৭৬৩ নং দাগে জমি ছিল ১৫ শতাংশ বিআরএস জরিপে রেকর্ড হয়েছে ১২ শতাংশ,নকশায় জমি আছে ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ ,তার থেকে স্কুলের নামে বিকি ৬ শতাংশ। আমাদের কাছে যকটুকু বিক্রি করছে সেটুকু বুঝে নিয়েছি। নোটিশ পেয়েছি সেখানে আইনজীবির মাধ্যমে জবাব দিব।