মানুষকে সংবিধান বুঝিয়ে আন্দোলনে আনা কষ্ট : মান্না
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শুক্রবার, নভেম্বর ৪, ২০২২ ৫:৪৬ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শুক্রবার, নভেম্বর ৪, ২০২২ ৫:৪৬ অপরাহ্ণ
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, মানুষকে সংবিধান বুঝিয়ে আন্দোলনে আনা কষ্ট। মানুষকে দ্রব্য মূল্যের দাম বেশি রাখা হচ্ছে এরা চোর বলে আনতে পারবেন। কিন্তু তাদের অধিকার আদায় হচ্ছে না। সংবিধান বদলানো দরকার তারা সেটা বুঝবে না। অনেকে জানেই না যে সংবিধান দেশ চালায়। তাই তাদের এইভাবে আন্দোলনে আনতে পারবেন না।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ৫০তম সংবিধান দিবস উপলক্ষে ‘সংস্কার কেন প্রয়োজন এবং কীভাবে সম্ভব’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সংবিধানে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন জানিয়ে মান্না বলেন, সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে জেনে বুঝে ধীরে এগিয়ে যেতে হবে। এই সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে জারের মতো ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ লোকই সংবিধানের ধারা সম্পর্কে জানে না। সংবিধানের ৭ ধারা থাকলে এই সরকারের বিরুদ্ধে কোথাও কিছু বলা যাবে না। ৭ ধারা থাকলে মানুষের অধিকার থাকবে না। সুতরাং মানুষকে সংবিধান সম্পর্কে সহজ করে বলতে হবে ,যাতে মানুষ বিশ্বাস করে এই সংবিধান পরিবর্তন করা দরকার।
তিনি বলেন, মানুষ যেভাবে জনসমাবেশগুলোতে অংশ নিচ্ছে এগুলো তো অভ্যুত্থানের মতই। সব কিছু বন্ধ তারপরও মানুষ যাচ্ছে এবং খেয়াল করবেন এরা সবাই বিএনপির সমর্থক নয়। এখানে সাধারণ মানুষ আছেন যারা মনে করেন জিনিসের দাম কমা দরকার।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মানুষ এখনকার ক্ষমতাশীলদের অত্যাচারের জর্জরিত দ্রব্যমূল্যের ক্রস আঘাতে বিপরীত হয়ে যাকে পায় তাকে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছে কারণ তাদের তো বাঁচতে হবে।
গণতন্ত্র মঞ্চ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চের বইগুলো নিশ্চয়ই পড়ে দেখেছেন। যেগুলো যেগুলো বলেছি তার ভিত্তিতে থাকতে চাই, লড়াইটা করতে চাই, লাগাতারভাবে এই কথাগুলো বলতে চাই এবং সেই কারণে বলবো জনগণের ভাষায় কথা বলতে হবে। আমরা যারা এই জোটটি গঠন করেছি এই জোট সম্পর্কে মানুষের মাঝে যেন সবচেয়ে ভালো আগ্রহ জন্মে যে মানুষ মনে করবে মুক্তি এরাই (গণতন্ত্র মঞ্চ) দিতে পারে ওরা (অনান্য রাজনৈতিক দল) যতই বড় দল হোক যতই বড় বড় কথা বলুক ওদের দিয়ে হবে না। হলে এদের দিয়েই হবে।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এর কার্যকরী সভাপতি শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।