মেজর জিয়ার নেতৃত্বে সাহসী সন্তানেরা দেশকে স্বাধীন করেছিল : হাফিজ উদ্দিন
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
সোমবার, মার্চ ২১, ২০২২ ২:৪২ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
সোমবার, মার্চ ২১, ২০২২ ২:৪২ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, বাংলাদেশের সাহসী সন্তানেরা বুকের রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে, এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান। তিনি ক্ষমতায় গিয়ে ও সততা দেখিয়েছেন। তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তার প্রমাণ দিয়েছেন একজন রাষ্ট্রপতি হিসেবেও। জিয়াউর রহমান ছয় বছর ক্ষমতায় ছিলেন, এক ইঞ্চি জমি নেই, কোনো দুর্নীতির অভিযোগ তার বিরুদ্ধে নেই। সৎ লোকের জায়গা এদেশে নেই। জিয়াউর রহমান যে আদর্শ রেখে গেছেন আওয়ামী লীগের কূটচালের মধ্যেই তা হারিয়ে যাবে।
রোববার, মার্চ ২০, ২০২২, সন্ধ্যায়, রাজধানীর সেগুনবাগিচার কচিকাঁচা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ গণতন্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, আজকে একটা ইউনিয়ন কাউন্সিল মেম্বার দেখেন। কোনমতে যদি একটি ইউনিয়ন কাউন্সিল এর মেম্বার হয় পৌরসভার কাউন্সিলর হয় তার দেখেন কত গুণ সম্পদ বেড়ে যায়। শেখ হাসিনাই বলেছিলেন নির্বাচনের পর মন্ত্রী-এমপিদের শিক্ষা দেবেন। কই? দেখতে পেলাম না।
হাফিজ বলেন, লুটপাট করার জন্য ইচ্ছে করে তারা লুণ্ঠন করার জন্য তারা সম্পদের হিসাব দিচ্ছে না। আজকে প্রয়োজন ১৯৭১ সালের মুক্তিকামী জনতা। ছাত্র যুবক যারা রাজপথে এসে দুর্নীতিবাজ দেশাত্মবোধ বিবর্জিত সরকারকে উৎখাত করতে পারবে। আমরা চাই, বেশি কিছু লাগে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দুই লাখ লোক রাজপথে নামলে, দুই লাখ লোক নামেন ঢাকা চিটাগাং রোড বন্ধ করেন। বিভিন্ন… বন্ধ করে দেন। কোথাও যুদ্ধ করতে হবে না, আগুন দিতে হবে না, গাড়ি ভাঙচুর করতে হবে না, খালি রাস্তায় বসে যান, এরা ভয়ে পালিয়ে যাবে।
হাফিজ বলেন, তবে হ্যাঁ এই ভাবেই দুর্নীতিবাজ নিশিরাতের সরকার কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে না। আপনারা প্রস্তুত হন ইনশাআল্লাহ আমরা তাদেরকে উৎখাত করে জিয়াউর রহমানের আদর্শের বাংলাদেশ গড়বো।
তিনি আরো বলেন, এদেশে কথা বলা খুব মুশকিল, একটি পরাধীন দেশে বসবাস করি আমরা। এখন শোনা যায় এক ব্যক্তি এবং একটি দল রাষ্ট্রভাষা কায়েম করে দিয়েছে। ছাত্রসমাজ ১৪৪ ধারা ভেঙে ভাষার দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এখানে রাজনৈতিক দলের কোনো কৃতিত্ব নেই।পাকিস্তান সরকারে যাওয়ার ছয় দফা আন্দোলনকে স্বাধীনতার আন্দোলন বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। ৭ই মার্চে ছাত্রদের দাবি ছিল, স্বাধীনতা ঘোষণার। ৪ টি দাবি ছিল সেদিনের ভাষণে কিন্তু সেখানে স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল না। ইতিহাস বিকৃতির রাজনীতি এখনো চলছে।
হাফিজ বলেন, ১৯৭১ এর যুদ্ধ ছিল সাধারণ মানুষের যুদ্ধ। কোনো রাজনৈতিক দলের যুদ্ধ ছিল না।
আয়োজক সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী রেজাব উদ্দৌলা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির ব্যাপারির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর সুকোমল বড়ুয়া, আব্দুস সালাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সাবেক সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, মহানগর বিএনপি নেতা ডাক্তার মুজিবুর রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।