রংপুরের পীরগাছায় আ’লীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২ ৩:৩৩ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২ ৩:৩৩ অপরাহ্ণ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
রংপুরের পীরগাছায় আ’লীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, দোকান ভাংচুর, এক ইউপি সদস্যসহ ১৫ জন আহত
রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় টিসিবি পণ্য পাবার তালিকার নাম ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষে এক ইউপি সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জনকে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। প্রায় ৩০ মিনিট অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে অন্নদানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামকে। এসময় একটি চায়ের দোকান ভাংচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ রবিবার সকাল ১১ টায় উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের সাতদরগা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে পীরগাছা থানা পুলিশের উপস্থিতিতে প্রায় ঘন্টা ব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, নিত্যপণ্যের উর্দ্ধগতিতে পবিত্র রমজান মাসে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে ন্যায্য মূল্যে টিসিবি পণ্য বিক্রির লক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তালিকা তৈরির লক্ষে নাম নেন ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম। আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীদের এই নামের ভাগ না দিলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি তাৎক্ষনিক ভাবে ছড়িয়ে পড়লে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবর রহমান হংকং এর নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী সাতদরগা বাজারে স্থানীয় ফারুক মিয়ার চা দোকানের লাঠিসোঠা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলামের সমর্থকদের ধাওয়া করে। পরে উভয় পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে নাহিদ হোসেন নাঈম (২৭), ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন (৪২) ও ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমানকে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় সাতদরগা বাজারের মশিয়ার রহমানের একটি ডিমের আড়তে ভাংচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবর রহমান হংকং।
অন্নদানগর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা গরীব মানুষের নামের তালিকা তৈরি করছিলাম। তখন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবর রহমান হংকং তার লোকজন নিয়ে এসে নামের ভাগ দাবি করেন। আমি ইউপি নির্বাচনে নৌকা বিরোধীতা কারীদের নাম না দেওয়ার কথা বললে তারা দলবল নিয়ে এসে সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালায়।আমাকেও অবরুদ্ধ করে রাখে।
অন্নদানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবর রহমান হংকং বলেন, আগে থেকেই দল ও চেয়ারম্যানের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা ছিল। এখন চেয়ারম্যান দিতে না চাওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র বলেন, অনেক লোকের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলো। তবে তেমন বড় ধরনের কোন কিছু হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।