রাঙামাটিতে কঠিন চীবর দান উৎসবে লাখো মানুষের ঢল
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শুক্রবার, নভেম্বর ৪, ২০২২ ৫:২১ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শুক্রবার, নভেম্বর ৪, ২০২২ ৫:২১ অপরাহ্ণ
রাঙামাটিতে কঠিন চীবর দান উৎসবে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। পুণ্যার্থীদের শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়েছে রাঙামাটি রাজ বনবিহারের ভিক্ষু সংঘ।
শুক্রবার ছিল ভান্তেদের মহাদানযজ্ঞ। আর এর মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে পার্বত্যাঞ্চলের মাসব্যাপী কঠিন চীবর দান উৎসব। অনুষ্ঠানের শেষ সময় পর্যন্ত রাঙামাটি ছিল উৎসবমুখর। এ মহাপুণ্যানুষ্ঠানে অগণিত পূণ্যার্থীর পাশাপাশি ঢল নামে হাজার হাজার দর্শনার্থীর। লোকারণ্যে পরিণত হয় সমগ্র রাঙামাটি শহর। ধর্ম, বর্ণসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষের মহাসম্মীলনে পুরো বিহার এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। মানুষের পদাচারণা ছিল রাজপথ থেকে সমগ্র রাজবন বিহার পর্যন্ত। লাখো মানুষের কণ্ঠে সাধু, সাধু, সাধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে রাজবন বিহার মাঠে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে দেশনা দেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরসহ শীর্ষ বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। এ সময় চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অং সুই প্রু চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান, রাঙামাটির চাকমা রানী ইয়েন ইয়েন, রাঙামাটি রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান, সদস্য নিরূপা দেওয়ান, অ্যাডভোকেট সুষ্মিতা চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
সমবেত পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে মহাসাধক শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের হিতোপদেশ উদ্ধৃতি দিয়ে শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির গণমানুষকে সব সময় সৎ ও ন্যায়নীতির পথ অবলম্বন করে হিংসা-বিদ্বেষ, স্বার্থপরতা, লোভ-লালসা, ক্ষমতার গর্ব, বর্বরতা ও পাশবিকতার বিপরীতে বুদ্ধের প্রেম, সাম্য, মৈত্রী, ক্ষমা, ত্যাগ, অহিংসা, আত্মসংযম ও করুণার বশবর্তী হয়ে বিশ্বমানবের সুখ-শান্তি ও কল্যাণে ব্রত থাকার পরামর্শ দেন। এছাড়া পূর্ণাথীদের উদ্দেশ্যে বৌদ্ধ আর্যপুরুষ মহাসাধক শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের সকল প্রাণীর হিতার্থে দেশনা (রেকর্ডীন) শুনানো হয়।