• আজ বিকাল ৫:০০, শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
  • shadinkhobor24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

রাজস্ব থেকে দুই সিটির পকেটে ১৭০০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ: রবিবার, জুলাই ২৪, ২০২২ ২:০২ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: রবিবার, জুলাই ২৪, ২০২২ ২:০২ অপরাহ্ণ

 

রাজস্ব আদায়ে এবার নতুন রেকর্ড করেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। বিদায়ী অর্থবছরে (২০২১-২২) দুই সিটি করপোরেশন বিভিন্ন খাত থেকে ১ হাজার ৬৯০ কোটি ৭ লাখ টাকা আদায় করেছে। এটি গত কয়েক বছরের মধ্যে রেকর্ড।

এর মধ্যে গৃহকর খাতে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন সবচেয়ে বেশি টাকা আয় করেছে। ট্রেড লাইসেন্স, বাজার ভাড়া, রিকশার লাইসেন্স, রাস্তা খনন ফিসহ বিভিন্ন সেবার বিপরীতে নগরবাসী থেকে নেওয়া টাকা দিয়ে কর্মকর্তাদের বেতন–ভাতার পাশাপাশি নানা উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে সংস্থা দুটি। তবে সংস্থা দুটির কাছ থেকে এসব সেবা পেতে নানা ভোগান্তির অভিযোগ রয়েছে নগরবাসীর।

বিদায়ী অর্থবছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৩৩টি খাত থেকে রাজস্ব আদায় করেছে ৮৭৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ২৫টি খাতে ৮২০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আদায় করেছে।

এর আগে তিন অর্থবছরে সংস্থা দুটি যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় করেছিল, তা পর্যায়ক্রমে বেড়েই চলছে। যেমন ২০১৯-২০ অর্থবছরে দুই সিটির আয় হয়েছিল ১ হাজার ১৬৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আয় হয় ১ হাজার ৩৯৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সংস্থা দুটি আয় করে ১ হাজার ১৩০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

দুটি সিটির রাজস্ব বিভাগ সূত্র বলছে, এর আগের অর্থবছরে (২০২০-২১) ঢাকার দুই সিটি আয় করেছিল ১ হাজার ৫১৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সে বছর দুই সিটি করপোরেশন আয়ের মধ্যে দক্ষিণ সিটির আয় হয়েছিল ৭০৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা, আর উত্তর সিটির হয়েছিল ৮১১ কোটি ৩ লাখ টাকা।

এর আগে তিন অর্থবছরে সংস্থা দুটি যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় করেছিল, তা পর্যায়ক্রমে বেড়েই চলছে। যেমন ২০১৯-২০ অর্থবছরে দুই সিটির আয় হয়েছিল ১ হাজার ১৬৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আয় হয় ১ হাজার ৩৯৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সংস্থা দুটি আয় করে ১ হাজার ১৩০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

নাগরিক সেবার বিপরীতে গৃহকর, ট্রেড লাইসেন্স, বাজার ভাড়া, রিকশার লাইসেন্স, রাস্তা খনন ফি, কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া, শৌচাগার ও পার্কিংয়ের জন্য ইজারা, জন্মনিবন্ধন ইত্যাদি থেকে রাজস্ব আদায় করে থাকে সিটি করপোরেশন। তবে এসব সেবা নিতে গিয়ে ক্ষেত্র বিশেষে নগরবাসীকে চরম হয়রানির স্বীকার হতে হয়। এর মধ্যে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় ট্রেড লাইসেন্স ও জন্মনিবন্ধন করতে গিয়ে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ট্রেড লাইসেন্সের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের অনিয়মে ও দুর্নীতির দায়ে অবশ্য কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছে। যেমন ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৪ (মিরপুর-১০) এ আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে দুই মাস আগে এক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

নগরবাসীরা যাতে ভোগান্তি ছাড়াই সেবা পান এ জন্য তাঁরা নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন। দুর্নীতি কমাতে অঞ্চলগুলোয় তদারকি বাড়ানোর পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত রেখেছেন।

উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম

 
 
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ