রাতে যমুনা কেড়ে নিলো বসতবাড়ি ও তাঁত কারখানা
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
মঙ্গলবার, জুন ৭, ২০২২ ১০:০১ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
মঙ্গলবার, জুন ৭, ২০২২ ১০:০১ পূর্বাহ্ণ

সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। সোমবার (৬ জুন) জেলার চৌহালী উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ পাকা রাস্তার মাথায় ঘূর্ণাবর্তে মুর্হূতের মধ্যে বিলীন হয়েছে ৫টি বসতবাড়ি ও ২টি তাঁত কারখানা। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বহু ঘরবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চোখের সামনে বসতভিটা নদীতে চলে যাচ্ছে। কেউ ঘরের খুঁটি খুলছেন, কেউবা টিনের চাল সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন। আর নারীরা কাপড়, বিছানাপত্র ও রান্নার জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছেন
স্থানীয়রা জানান, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি ও কমার সময় দফায় দফায় এই সব এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে নদীতে পানি স্থিতিশীল খাকায় ভাঙন বন্ধ ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে সোমবার থেকে যমুনা নদীতে রাতে ও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে ভাঙন শুরু হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা আমোদ আলী, আবুল কালাম, রুহুল আমিন, ইদ্রিস আলী, তারা মিয়া ও শাহ আলমের বসতভিটা ও দুইটি তাঁত কারখানা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কালাম মোল্লা বলেন, ‘নদী ভাঙনের ব্যাপকতা দেখে আমরা হতভাগ। একদিকে কাজ চলছে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের, অপর দিকে হঠাৎ করে ৫টি বসতভিটা ও তাঁত কারখানা নদীতে চলে যাওয়ায় আমরাও আতঙ্কিত। আশার করছি দ্রুতই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, সেইসঙ্গে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সব অসহায় পরিবারকে বিশেষ সহায়তা দেওয়া হবে।’
এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল ওহাব বলেন, ‘চৌহালীর দক্ষিণাঞ্চলে চরছলিমাবাদ এলাকায় ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ নিক্ষেপ করা হচ্ছে। তবে দেওয়ানগঞ্জের নদী ভাঙনে বসতভিটা বিলীননের বিষয়টি জেনেছি। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, চৌহালি উপজেলার যমুনা তীরবর্তী এলাকার প্রায় দুই কিলোমিটারজুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। তবে যে এক কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে, সেই এলাকায় ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। ইতোমধ্যেই ভাঙন রোধে ৪০ হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে।’
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চৌহালি নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার জন্য ৪৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এটি পাশ হলেই আগামী শুষ্ক মৌসুমে ভাঙন রোধে কাজ করা হবে।’
নিরাপদ স্থানে। যমুনার পাড়ে ভাঙন কবলিত মানুষের মাঝে কান্নার রোল পড়েছে।
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
