স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

লুটপাটের নয় জিয়াউর রহমানের বিএনপি দেখতে চান বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

রোববার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচার কচিকাঁচা মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট আয়োজন করে এ অনুষ্ঠানের।

হাফিজ বলেন, বাংলাদেশের সাহসী সন্তানরা বুকের রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান। তিনি ক্ষমতায় গিয়েও সততা দেখিয়েছেন। তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তার প্রমাণ দিয়েছেন একজন রাষ্ট্রপতি হিসেবেও। জিয়াউর রহমান ছয় বছর ক্ষমতায় ছিলেন, কিন্তু এক ইঞ্চিও জমি নেই তার। কোনো দুর্নীতির অভিযোগ তার বিরুদ্ধে নেই। সৎ লোকের জায়গা এদেশে নেই। জিয়াউর রহমান যে আদর্শ রেখে গেছেন আওয়ামী লীগের কূটচালের মধ্যে তা হারিয়ে যাবে।

অবৈধ সম্পদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে একটা ইউনিয়ন কাউন্সিল মেম্বার দেখেন। কোনোমতে যদি মেম্বার হয়, পৌরসভার কাউন্সিলর হয়, তার দেখেন কতো সম্পদ বেড়ে যায়।

ছাত্র-যুবকদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, দুই লাখ লোক রাজপথে নামেন। ঢাকা-চিটাগাং রোড বন্ধ করেন। কোথাও যুদ্ধ করতে হবে না, আগুন দিতে হবে না, গাড়ি ভাঙচুর করতে হবে না, খালি রাস্তায় বসে যান, এরা (সরকার) ভয়ে পালিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আজকে জিয়াউর রহমানের দলের আরও ভূমিকা রাখা উচিত ছিল। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দিনের পর দিন কারাগারে। আমরা কী করতে পারছি? শুধু বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের তো বয়স হয়েছে। আমরা তাকিয়ে আছি যুবসমাজের দিকে, তারা নামলে আমরাও সঙ্গে থাকতাম। কোথায় সেই ছাত্র-যুবসমাজের দল, যারা এই দেশটাকে স্বাধীন করেছে।

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, এদেশে কথা বলা মুশকিল। একটি পরাধীন দেশে বসবাস করি আমরা। এখন শোনা যায়, এক ব্যক্তি এবং একটি দল রাষ্ট্রভাষা কায়েম করে দিয়েছে। ছাত্রসমাজ ১৪৪ ধারা ভেঙে ভাষার দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এখানে রাজনৈতিক দলের কোনো কৃতিত্ব নেই।

আয়োজক সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী রেজাব উদ্দৌলা চৌধুরীর সভাপতিত্বে হুমায়ুন কবির ব্যাপারীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর সুকোমল বড়ুয়া, আব্দুস সালাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সাবেক সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, মহানগর বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান।