শরীয়তপুর সদর উপজেলায় বখাটের হামলায় আহত তরুণীর মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
রবিবার, মার্চ ২০, ২০২২ ৭:৫৯ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
সোমবার, মার্চ ২১, ২০২২ ১০:২১ পূর্বাহ্ণ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় এক বখাটের হামলায় আহত তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার ভোরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রোববার কাকলির গায়েহলুদ ও কাল সোমবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
নিহত কাকলি আক্তার (২০) শরীয়তপুর শহরের চর পালং এলাকার বাসিন্দা নুরুজ্জামান মাদবরের মেয়ে।
অভিযোগ উঠেছে, বিয়ে করতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে শরীয়তপুর পৌরসভার কাশাভোগ এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম (২৪) বৃহস্পতিবার রাতে কাকলিকে কুপিয়ে আহত করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কাকলি আক্তার শরীয়তপুর শহরের ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্রী ছিলেন। ওই মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র মো. জাহিদুল ইসলাম তাকে বিভিন্ন সময়ে উত্ত্যক্ত করত। তাকে বিয়ে করার জন্য তার পরিবারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল। কাকলির পরিবার তাতে রাজি হয়নি। কাকলিকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় তার পরিবার। এতে ক্ষুব্ধ হয় জাহিদুল।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে কাকলির বাড়িতে ঢুকে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে জাহিদুল। কাকলির চিৎকারে এলাকার মানুষ তাকে উদ্ধার করে। পালিয়ে যাওয়ার সময় জাহিদুলকে আটক করে পিটুনি দেন লোকজন।
খবর পেয়ে পুলিশ কাকলিকে উদ্ধার করে প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে আজ রোববার ভোরে কাকলির মৃত্যু হয়।
আহাজারি করতে করতে মা ফরিদা বেগম বলেন, কাকলিকে বিয়ে দিতে পারলাম না। পাষণ্ডটা কেন আমার মেয়েকে মেরে ফেলল? মেয়েকে নিরাপত্তা দিতে পারলাম না। আল্লাহ ওই সন্ত্রাসীর বিচার কর।
কাকলির ভাই ফারুক মাদবর বলেন, রোববার কাকলির গায়েহলুদ ও কাল সোমবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। আমাদের ছোট বোন অনেক আদরের ছিল। বিয়েতে অনেক আয়োজন করার পরিকল্পনা ছিল। আজ বোনের কবরে মাটি দেব। আল্লাহ কেন এমন করলেন?
পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, তরুণীকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেছিলেন তার ভাই। ওই মামলায় জাহিদুলকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে।
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
