• আজ সন্ধ্যা ৭:৩৪, রবিবার, ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
  • shadinkhobor24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

শহীদ জিয়ার সাহাদাত বরন ও কিছু অজানা তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ: রবিবার, মে ২৯, ২০২২ ৬:৪১ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: রবিবার, মে ২৯, ২০২২ ৬:৪৩ অপরাহ্ণ

 

নজরুল ইসলাম চৌধুরী

আজ বাংলাদেশের মহান স্বাধীতার ঘোষক , বহুদলিয় গনতন্ত্রের স্থপতি , স্বনির্ভর বালাদেশের জনক , বাংলাদের সর্ব প্রথম নির্বাচিত মহামান্য রাস্ট্রপতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান , এদেশের জন ও গন মানুষের হৃদয়ের গভীরের রাখালরাজা শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪১তম সাহাদাত বার্ষিকী । গভীর শ্রদ্ধাভরে স্বরন করছি এই মহা নেতাকে। বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এই মহান নেতার আত্মার প্রতি ।বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দেশী বিদেশীর নিখুঁত নিলনকশা আর গভীর সড়যন্ত্রে দীর্ঘ কাল ধরে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এক গহীন অমানিশায় নিমজ্জিত । চলছে ডন মাফিয়া তন্ত্রের মোহড়া। জাতি হারিয়েছে স্বাধীকার ও গনতান্ত্রিক ন্যায্য অধীকার। চলছে ভয়াবহ এক স্বৈরচারিতা প্রতিষ্ঠার ন্যাক্কারজনক ও ভয়ংকর পরিস্থিতি । যে পরিস্থিতি দেশের মহান স্বাধীতা ও স্বার্বভৌমত্বকে দাসত্ব প্রথার আবদ্ধ হয়ে পরাশক্তির হাতে সোপর্দ করে আমরন ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার এক মরনপণ প্রক্রিয়া । দেশের রাজনৈকি নৈরাজ্য শৃষ্ঠি , অধিকার হরন , খুন-গুম , ধর্ষন , গন গ্রেপ্তারের , রাস্ট্রীয় অর্থ পাচার ও লুটপাট সহ জংগি নিধন নামে জংগি প্রথা প্রতিষ্ঠিত করে স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় একের পর এক হলিখেলা তৈরী করে জনগনের চোখে গোলকধাঁধা শৃষ্ঠি করে নানান ইসু তৈরী করে জাতিকে অন্ধকারে রেখে হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার অপচেষ্টা । রাজনীতি অনেটা নির্বাসানে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার প্রধান ও সরকারী দলের একটি অংশ মহান স্বাধীতার ঘোষক তদকালিন মেজর জিয়া জেড ফোর্সের অধীনায়ক বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাব বাজেয়াপ্ত করার ঘোষনা দিয়েই শুধু খান্ত হয়নি শহীদ জিয়ার মরদেহ নিয়ে যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে । সে বিতর্কে দেশের ষোল সতর কোঠি নর নারীর হৃদয়ের রক্তখরনের অসহনীয় যন্ত্রনা বইয়ে চলছে। আমার হৃদয়ের গভীরেও প্রচন্ড রক্তক্ষরনের যাতনা নিয়েই শহীদ জিয়ার মরদেহ প্রাপ্তি ও কোঠি কোঠি মানুষের বুকভাঙ্গা আর্তনাদ নিয়ে ঢাকায় নামাজে জানাযায় অংশ গ্রহন ও রাস্ট্রিয় মর্যাদায় দাফন নিয়ে কিছু স্মৃতি চারন করতে কাগজ কলম নিয়ে বসলাম। যে স্মৃতি চারন না করলে আমি নিজেকে নিজে মহা অপরাধী বলে বিবেচিত হব। মহান রাব্বুল আল্ আমিনের দরবারে আমরন শোকরিয়া জ্ঞাপন করে যাব এই জন্য যে , সেদিনকার লাখ লাখ মানুষের কাফেলার মাঝে আমিও শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামাজে জানাযার অংশগ্রহণকারী ছিলাম।

জিয়ার জনতার ভিড়। সেখানে ছিলনা শহীদ জিয়ার মররদেহ তবুও শতশত জিয়ার জনতার সাথে শামিল হয়ে শ্রদ্ধ্যাভরে আমিও ফাতেহা পাঠ করে জেয়ারত করেছিলাম। জেয়ারত শেষে শহীদ জিয়ার মরদেহ সন্ধানের বিষয়টি নিয়ে পাহাড়ী উপজাতি ও স্থানিয় বাংগালী ভাইদের থেকে খোঁজ খবর নিয়ে প্রকৌশলী মহাবিদ্যালয়ের আবাসিক হোস্টেল বর্ষের ছাত্র জনাব জনাল আবদিনের সাথে সাক্ষাত করার জন্য যাই। বড়ই পরিতাপর বিষয় ছিল জয়নাল আবদিন ও তাঁর দুই বন্ধু শেষ বর্ষের পরীক্ষা সমাপ্তি করে নিজ এলাকায় চলে গিয়েছন। উল্লেখ্য যে জানাব জয়নল আবদিন ও তার দুই ক্লাসমেইট স্থানিয় টহল পুলিশের সহায়তায় চট্রগ্রাম ষোল শহরে অবস্থিত সেনা দপ্তরে শহীদ জিয়ার মরহদেহের খবর পৌচিয়ে ছিল।
জয়নাল আবদিনের দেশের বাড়ী ফেনী থানার শর্শদী গ্রামে। ঠিকানা নিয়ে শর্শদীর গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে জানলাম জয়নাল সাহেব ঢাকায় থাকেন।
জয়নাল সাহেবের দেখা না পেয়ে দুঃখ ভরাক্রান্ত মন নিয়ে ফেরত আসলেও আমি হতাশ হইনি। প্রায় দুই তিনবছর পর জয়নাল সাহেবের সাথে সাক্ষাত করাতে সফল হয়েছিলাম। একদিন ঢাকায় জয়নাল সাহেবের সাথে দীর্গ ক্বণ আলাপ করে শহীদ জিয়ার মরদেহ উদ্ধারের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হই। ২০১৬ সালের ৩০ মে শহীদ জিয়ার ৩৫তম শাহাদাত বার্ষিকীতে ফেনীর জনবহুল স্থানিয় পত্রিকা ” দৈনিক ফেনীর সময় ” তে প্রকাশিত হয়েছিল। বড়ই পরিতাপর বিষয় যে দৈনিক দিনকাল পত্রিকায় এমন গুরুত্বপুর্ন তথ্যবহুল নিয়ে আমার পাঠানো আর্টিক্যালটি প্রকাশ করেন। যদিও দৈনিক জনপদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল ।
১৯৮১ সালের ৩০শে মে রোজ শুক্রবার দিবাগত ভোর রাতে দেশী বিদেশী পরাশক্তির নিখুঁত নিলনকশায় দেশের কিছু বিপদগামী সেন কর্মকর্তার হাতে মহান স্বাধীতার ঘোষক বাংলাদের সর্ব প্রথম নির্বাচিত রাস্ট্রপতি , বি এন পির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান নির্মম ভাবে শাহাদাত বরন করেন। পরদিন শনিবার সকাল দশটা কি এগারটার দিকে সেই সেনা গং শহীদ জিয়ার লাশ চট্রগ্রাম সার্কিট হাউজ থেকে সরিয়ে নিয়ে রাংগুনিয়া প্রকৌশলী মহাবিদ্যালয় সংলগ্ন পাহাড়ের এক তলদেশে দাফন করেছিল। দাফন কাজের নেতৃত্বে ছিল চট্রগ্রাম সেনা নিবাসের তদকালিন ” মেজর খালেদ “। মেজর খালেদের নেতৃত্বে শহীদ জিয়ার লাশ দাফন কাজ সম্পাদন করাকালিন সময়ে এক পাহাড়ী বাংগালী যুবক ( সুমন ) দূর থেকে দাফন সমাপ্তি পর্যন্ত সবকিছু অবলোকন করেছিল। পাহাড়ী বাংগালী যুবক সুমন প্রকৌশলী মহাবিদ্যালয়ের প্রকৌশলী ছাত্রদের সময় সময় টুকিটাকি কাজকর্ম করার সুবাদে সবার খুবেই প্রিয় ছিল। ( দুঃখিত আজ এই মুহুর্তে আমি সুমনের ভালো নামটি প্রকাশ না করার জন্য ) শহীদ জিয়া ও তার দুই গার্ডকে একই কবরে একটি ত্রিপলে মোড়িয়ে দাফন করা হয়েছিল। দাফন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেই ” মেজর খালেদ ” তার গাড়ী থেকে নামেননি। মেজর খালেদের সাথে থাকা একদল শিপাহী ক্রন্দনরত অবস্থায় শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে সামরিক মর্যাদায় স্যালুট করে দাফন কাজ সমাপ্ত করেছিলেন।
শনিবার ও রবিবার সারা দেশ ছিল থমথমে। রবিবার প্রকৌশলী মহাবিদ্যালয়ে গিয়ে পাহাড়ী বাংগালী যুবক সুমন জয়নাল আবদিন সাহেবকে তার দেখা ঘটনাটি বিস্তারিত অবহিত করে। ঐ পাহাড়র তলদেশে যে শহীদ জিয়াকে দাফন করা হয়েছে তা সুমন অনুমন করতে পারেনি। সোমবার সকালে জয়নাল আবদিন তার অপর রুই ক্লাসমেইট বন্ধুকে নিয়ে নিরবে হাঠত হাঠতে সড়জমিনে দেখার জন্য সুমনকে সাথে নিয়ে সেই কবরের পাশে এসে পৌছায়। সদ্য নূতন কবর দেখে জয়নাল আবদিন তাদের হোস্টেল থেকে কোদাল ও সাবল আনার জন্য সুমনকে পাঠায়। কোদাল ও সাবল নিয়ে আসার পর জয়নাল আবদিন গং কবর খোলার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার সময় সুমন বলে ওঠল স্যার কবরে যদি ওরা কোন মাইন্ড গেরে যায় তা হলে আমরাতো কেউ বাঁচবনা। সুমনের কথাটি যথাযথ ভেবে কবর না খুলে স্থানিয় পুলিশের নিকট গিয়ে বিষয়টি জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিকস্থ বাজারে রোডে একটি পুলিশ টহল বাহিনীকে দেখে বিস্তরিত অবহিত করে নিকস্থ সেনা নিবাসে অয়ারর্লেস মেসেজ দেয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ করে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে টহল পুলিশের একজন অফিসার তাৎক্ষনিক নিকস্থ সেনা নিবাসে মেসেজটি প্রেরন করেন। অয়ারলেস মেসেজ প্রেরনের ত্রিশ থকে চল্লিশ মিনিটের মধ্যেই সেনানিবাস থেকে তদকালিন ব্রিগিডিয়ার জেনারেল আসম হান্নান শাহ এর নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য এসে পৌচে। ইতমধ্যে এলাকার চারিদিক থেকে শোকার্ত জনতা এবং রাংগুনিয়া প্রকৌশলী মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক শহীদ জিয়ার প্রথম কবরের চারপাশে জড়ো হয়ে যায়। ব্রিগিডিয়ার জেনারেল আসম হান্নান শাহ এর নেতৃত্বে সামরীক যন্ত্রপাতি দিয়ে কবরে কোন প্রকার বিস্ফোরক দ্রব্য আছে কিনা তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হলেন যে , না ঐ ধরনের কোন কিছু নেই। তারপর ব্রিগিডিয়ার জেনারেল আসম হান্নান শাহ এর সাথে ওয়াদা মোতাবেক রাংগুনিয়া প্রকৌশলী মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র জয়নাল আবদিন ও তার দুই ক্লাসমেইট কবর খোলার কাজ শুরু করেন। প্রকৌশলী মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাথে আরো ওয়াদা ছিল শহীদ জিয়ার লাশ গোসল দিয়ে প্রকৌশলী মহাবিদ্যালয় আংগিনায় নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত করা। জয়নাল আবদিনদের সাথে ব্রিগিডিয়ার জেনারেল আসম হান্নান শাহ সহ কয়েজন সেনা সদস্য শহীদ জিয়ার কবর খোলার কাজে অংশ নিয়েছিলেন। প্রায় দুই ত্রিতিয়াংশ কবর খোলার পর কবর থেকে অসহনীয় দুর্গন্ধ ভেসে আসছিল। জয়নাল আবদিন ও তার দুই ক্লাসমেইট তাদের গায়ের জামা খুলে গেন্জী দিয়ে নাক মুখ বেধেই কবর খোলার কাজ সমাপ্তি করেছিল।কবর খোলার পর দেখাগেল একটি ত্রিপলে মোরানো তিনটি লাশ। ব্রিগিডিয়ার জেনারেল আসম হান্নান শাহ শহীদ জিয়ার লাশ সনাক্ত করে সামরীক কায়দায় স্যালুট করেন। তখন উপস্থিত ছাত্র জনতা”আল্লাহু আকবার – আল্লাহু আকবার ” জিকির করা শুরু করেদিয়েছিল। মনে হচ্ছিল শত শত ছাত্র জনতার জিকিরের ধ্বনিতে চতুর্দিকের পাহার – পর্বত ও আকাশ বাতাস থর থর করে কাঁপছিল। যাহা জয়নাল আবদিন সাহেবের ভাষায় অবর্ননীয় ছিল।ছিল। এরি মধ্যে আরো আরো অনেক সেনা সদস্য এসে পৌছে শহীদ জিয়া ও তাঁর দুই সংগির মরদেহ কমান্ডো কায়দায় তাদের ভ্যান গাড়িতে তুলে ধ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। ব্রিগিডিয়ার জেনারেল আসম হান্নান শাহ র দেয়া প্রতিশ্রুতি আর পুরন হলনা।

কবর খোলার প্রধান নেতৃত্ব দানকারী জনাব জয়নাল আবদিনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী শহীদ জিয়ার শরীরের ডান পাশ্ব গুলিতে ঝাজড়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাম পাশ ছিল একেবারে নিখুঁত। সিনা থেকে নাভী পর্যন্ত পচন ধরেছিল। শহীদ জিয়ার গালায় তাঁর একটি রুপার চেইনের লকেটে পবিত্র কোরআন শরীফের কবজটি নিখুঁতভাবে ছিল।
শহীদ জিয়ার কবরের সন্ধান দেয়া রাংগুনিয়া প্রকৌশলী মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র বর্গের সাথে দেয়া প্রতিশ্রুতি মোতাবেক মরদেহ গোসল এবং মহাবিদ্যালয় চত্তরে নামাজে জানাযা না দিয়ে সেনা কর্মকর্তা ব্রিগিডিয়ার জেনারেল আসম হান্নান শাহ শতভাগ কমন্ডো স্টাইলে মুহুর্তে চট্রগ্রাম সেনানিবাসের উদ্দেশ্যে ররওনা দেয়ার পর পরেই সেখানে উপস্থিত শতশত ছাত্র জনতা জড়ো হয়ে গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত করেছিল।
আপালচিরিতার শেষে জয়নাল আবদিন সাহেবকে প্রশ্ন করেছিলাম — আপনাদের সেই সময়ের দুঃসাহসিকতা আর নিখুত দেশপ্রেম ও মহান নেতার প্রেমের সেই অবদান কি দেশ – জাতি ও দল জানেন?
আপনারা কি এমন মহত কর্মের জন্য সরকার কিম্বা দলের তরফ থেকে বাহবাহ্ কিম্বা কোন উপঢৌকন পেয়েছেন ??
আমার সেই প্রশ্নটি শুনে জয়নাল আবদিন খুব মলিন চেহারায় দীর্ঘ শ্বাস ফেলে গম্ভীর ও করুন কন্ঠে শুধু বলেছিলেন ” নজরুল ভাই থাক ওসব কথা ” যাহা করেছি তা ছিল গুরু দায়িত্ব। আমাদের বড় পরিচয় আমরা শহীদ জিয়া ও তাঁর দেয়া মহান আদর্শের সৈনিক। সকল চাওয়ার উর্ধে আমি এবং আমরা আমরন শহীদ জিয়ার সৈনিক।
জয়নাল আবদিন খুবে দুঃখ ও গভীর বেদনার কন্ঠে বলেছিলেন সেই এরশাদ সরকারের রোশানলের শিকার হয়ে আমি এবং আমার অপর দুই বন্ধু সরকারী চাকুরী থেকে পদচ্যুতি পেয়েছি। এটাই উপঢৌকন বলেন বা পুরস্কার যাই বলেন , সবর হলো মহান সম্পদ। তাই সবর ধরে আজো বেছে আছি।
জয়নাল আবদিনের সাথে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আমার নিয়মিত যোগায়োগ ছিল। বেসরকারী একটা ফার্মে চাকুরী রত । দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন ।
জয়নাল আবদিন ও তার বন্ধুদের কথা মনে পড়লে হৃদয়ের গভীর থেকে স্যালুট ও শ্রদ্ধা নিবেদন করি আর ভাবি শুধু জয়নল আবদিন গং নয় , তাদের মত হাজার হাজার নিখুঁত শহীদ জিয়া ও তাঁর সুমহান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী আদর্শের সৈনিক দেশের আনাচে কানাচে অবহেলিত ও অবমূল্যায়িত হয়ে দিনাতিপাত করছে। কেউ হয়তবা দুনিয়া ছেড়ে শেষ বিদায় নিয়েছে । আর যারা আজো বেচে আছে তার সবেই সকল চাওয়া পাওয়ার উর্ধে স্ব স্ব অবস্থানে থেকে শহীদ জিয়ার সু মহান আদর্শকে নিরবে লালন করে দিনাতিপাত করছে। ওরা আমরন জিয়ার সৈনিক। সকল চাওয়া – পাওয়ার উর্ধে তারা গর্বিত বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের পরিচয় বহনকারী গর্বিত নাগরীগ। আমিও তাদের মাঝে একজন।
লিখক ও কলামিস্ট
নজরুল ইসলাম চৌধুরী ।
সাবেক সভাপতি – বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ফেনী জেলা –১৯৮১ — ৮৪ ।
সাবেক প্রচার সম্পাদক – ফেনী জেলা বি এন পি — ১৯৮৫ — ৯০।

 
 
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ