শান্তিরক্ষীদের অবদান দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে’
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শনিবার, মে ২৮, ২০২২ ১:২৫ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শনিবার, মে ২৮, ২০২২ ১:২৫ অপরাহ্ণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
জাতিসংঘ মিশন ও বহুজাতিক বাহিনীতে আমাদের শান্তিরক্ষীদের অনন্য অবদান বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকেউজ্জ্বল করেছে এবং এদেশকে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাসম্পন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস–২০২২’ উপলক্ষে শনিবার (২৮ মে) দেওয়া বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।আগামীকাল ২৯ মে পালিত হবে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস–২০২২।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস–২০২২ পালিত হচ্ছেজেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণকরে শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশের সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী গভীরশ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সেই শান্তিরক্ষীদের–যারা বিশ্বশান্তির জন্য অকাতরে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়ে বিশ্ব দরবারে দেশেরপতাকাকে উজ্জ্বলতর করেছেন। তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করের এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীরসমবেদনা জানান।
বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে এবং একই বছর ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণঅধিবেশনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় প্রদত্ত তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণেবিশ্বের সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের বিষয়ে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তখন থেকেই বাংলাদেশ বিশ্বেরশান্তিপ্রিয় ও বন্ধুপ্রতিম সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলছে এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের অধীনে পরিচালিতসকল শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে।
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেছেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আজ সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশসমূহের অন্যতমবাংলাদেশ। বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশসমূহের সঙ্গে আমাদের পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নেগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। করোনা মহামারির মধ্যেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তি স্থাপনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীগণ পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ওই সকল দেশের জনগণের আস্থাঅর্জন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে শান্তিরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে যে গৌরব ও মর্যাদা লাভ করেছে, তা আমাদের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য পেশাদারিত্ব, সাহস, বীরত্ব ও দক্ষতারই অর্জিত ফসল। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশসরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতি আমি আমার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি। বাংলাদেশেরশান্তিরক্ষীরা যাতে আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিতে পারেন, সে জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের সবপ্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, শান্তিরক্ষী সদস্যরা শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব, সাহস ও নিষ্ঠা দ্বারাবাংলাদেশকে বিশ্বে একটি শক্তিশালী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন এবং দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল থেকেউজ্জ্বলতর করবেন।
এসময় ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস–২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন এবংসকল শান্তিরক্ষীর সাফল্য ও মঙ্গল কামনা করেন।
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
