শুটার মাসুম ওরফে আকাশকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
রবিবার, মার্চ ২৭, ২০২২ ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
রবিবার, মার্চ ২৭, ২০২২ ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
রাজধানীর শাহজাহানপুরে এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতিকে হত্যার মূল শুটার মাসুম ওরফে আকাশকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।ঘটনার পাঁচদিন আগে নিজের সুবিধা পেতে টিপুকে হত্যার কন্ট্রাক্ট পান মাসুম।
রবিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিবি প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার। গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে হাজির করলে কিছু বলেনি মাসুম।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘মাসুম এই হত্যাকাণ্ডের কথাটি আমার কাছে স্বীকার করেছে। হত্যার জন্য মাসুমকে কন্টাক্ট করা হয়েছিল। তবে টাকা দিয়ে নয়, তাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে কন্ট্রাক্ট করা হয়। তার বিরুদ্ধে ৪-৫টি মামলা রয়েছে। একটি হত্যা মামলাও রয়েছে। তাকে সেসব মামলা থেকে রক্ষা করা হবে বলা হয়েছিল।’
ডিবি জানায়, গ্রেপ্তার মাসুম একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন পাশ করেছে। তার বাবা একটি স্কুলের শিক্ষক। তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।
হত্যার কারণ জানতে চাইলে এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, এ মুহূর্তে তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। মোটিভ পরে বলতে পারব।
নিহত প্রীতির গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে। বাবার চাকরিসূত্রে ঢাকায় থাকে তার পরিবার। প্রীতির বাবা জামাল উদ্দিন মিরপুর-২-এ একটি কোম্পানির ফ্যাক্টরির প্রোডাকশনে চাকরি করেন।
প্রীতি বদরুন্নেসা কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে পড়ত। পরিবারের অবস্থা বিবেচনা করে প্রীতি নিজে চাকরির চেষ্টা করছিল। ১৫ হাজার টাকায় একটা অফিসে চাকরি নিয়েছিল। সামনের মাসে জয়েন করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হলো না।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর ওইদিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।