সঠিক সময়ে হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় জেলার ১১ ইউএনও দায়ী
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শনিবার, মার্চ ১২, ২০২২ ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শনিবার, মার্চ ১২, ২০২২ ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ
একে কুদরত পাশা, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি::
বর্ধিত সময়ের মধ্যে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটি। শনিবার দুপুর ১২ টায় শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। ১৫ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি হাওররক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বর্ধিত সময় ১০ মার্চ ও পিআইসির মাধ্যমে কাজ শেষ করতে পারেনি কাবিটা স্ক্রীম প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটি।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির বার্যকরী সভাপতি ও ছাতক উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের সকল হাওরের বাঁধের কাজ শেষ করার বাধ্যবাদকতা থাকলেও কাজ শেষ না করে আরও ১০ দিন বর্ধিত করে কাবিটা স্ক্রীম প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন জেলা কমিটি। এই বর্ধিত সময়েও কাজ শেষ করা হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধের কাজে অগ্রগতি ৮৩ ভাগ বললেও বাস্তবের সাথে মিল নেই। হাওর বাঁচাও আন্দোলন জেলার উপজেলা কমিটিগুলো হাওর পরিদর্শণ করে যে প্রতিবেদন জেলা কমিটির কাছে জমা দিয়েছে তাতে পাউবোর প্রতিবেদনের সাথে বিরাট ফারাক রয়েছে। কাবিটা স্ক্রীম প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটি ও পাউবোর মনিটরিং রিপোর্ট প্রত্যাখান করেছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন।
বক্তারা বলেন, কাজ শুরু থেকেই দুনীতির অভিযোগ উঠে কাবিটা স্ক্রীম প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির বিরুদ্ধে। তারা একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরকারের টাকা হরিলুট করছে। প্রক্কলণ থেকেই তারা দুর্নীতির জাল বুনে। অক্ষত বাঁধে অতিরিক্ত বরাদাদ দিয়ে তারা নিজের লাভবান হচ্ছে। এ সিন্ডিকেটের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া জরুরী। তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সঠিক সময়ে বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ার জন্য পিআইসি দায়ী নয় দায়ী হচ্ছে ১১ উপজেলা নির্বাহী অফিসার। পিআইসি কাজ করেও টাকা পাচ্ছে না। তাদের আমলাতান্ত্রিক জঠিলকার বলি হতে পারে হাওরে কৃষকের ফসল। এবার ফসলের কোন ক্ষতি হলে শুধু পাউবো নয়, জেলা প্রশাসক ও হাওরাঞ্চলের সকল ইউএও অফিস ঘেরাও করা হবে।
এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সভাপতি সুখেন্দু সেন, যুগ্ম সম্পাদক নির্মল ভট্রাচার্য্য, সালেহিন চৌধুরী শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক একে কুদরত পাশা, হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আলী হায়দার, মোদাচ্ছির আলম সুবল, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদনুর আহমদ, শান্তিগঞ্জ উপজেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউর রহমান, বাঁধ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, তাহিরপুর উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব হোসাইন শরীফ বিপ্লব, জামালগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি শাহানা আল আজাদ, কৃষক আব্দুল আজিজ, মিনার মিয়া, জয়নাল মিয়া, জগলুল মিয়া, জিতু মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক আনোয়ারুল হক, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আলীনুর, স্বপন দাশ, চন্দন রায়, প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান, তথ্য সম্পাদক বিমল বনিক, সদস্য রবিন্দ্র দেব, ফারুক আহমদ, এম আর শামীম তালুকদার, শান্তিগঞ্জ উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি জিয়া উদ্দিন, শৈলেন সূত্রধে, শিমুলবাঁক ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, তাহিরপুর উপজেলা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাইদুল কিবরিয়া, তুজাম্মিল হক নাছরুম, সদস্য গোলাম মওলা,একরাম হোসেন প্রমূখ।