সত্যের জয় অনিবার্য, ভয়ের কোনো কারণ নেই : গয়েশ্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শুক্রবার, মার্চ ১১, ২০২২ ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শুক্রবার, মার্চ ১১, ২০২২ ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সত্যের জয় অনিবার্য, ভয়ের কোনো কারণ নেই। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির কর্মী, যে দলের জন্ম একজন সৈনিকের হাতেই। যুদ্ধই আমাদের ধর্ম, যুদ্ধ করেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।
শুক্রবার (১১ মার্চ) বগুড়া জেলা বিএনপির সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সম্মেলনের সফলতা কামনা করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে জাতীয় সঙ্গীত ও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে দলীয় প্রতাকা উত্তোলন ও শান্তির পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বগুড়া সদর বিএনপির এই সম্মেলনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে সাংগঠনিক সাত বিভাগের সাতজন সাংগঠনিক ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদকগণ অংশ নেন। এসব নেতাদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকের এই সম্মেলনে সবার আস্থা জন্মেছে যে ভোট দিতে পারব, সে কারণে সবাই এসেছেন। জাতীয় নির্বাচনেও মানুষের মধ্যে ভোটাধিকারের আস্থা ফিরাতে হবে। আজকে এই সম্মেলন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একটি মডেল। সরেজমিনে দেখার জন্য আপনাদের এখানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এনেছেন। এখানে উপস্থিত বিভিন্ন বিভাগ থেকে আমন্ত্রিত সাংগঠনিক সম্পাদকগণ আগামী দিনে এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কমিটি গঠন করবেন বলে আশা করি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এখন স্বপ্ন দেখার বা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময় নয়; এখন বাস্তবায়ন করার সময়। এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে তার প্রমাণ দিতে হবে। হাত তুলে জনগণকে দেখাতে হবে আমরা জিয়ার সৈনিক, খালেদা জিয়ার সৈনিক, সৈনিক তারেক রহমানের সৈনিক- আমরা একটা ফ্যাসিবাদী সরকারকে নামিয়েছি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আসুন আমরা যুদ্ধটা শুরু করি, সহসাই যুদ্ধ শেষ হবে। সরকারের আয়ু বেশিদিন নেই। আমরা যদি মাঠে নামি। তা না করলে সরকার থাকবে। তারা পাচার করতে থাকবে। বিভিন্ন দেশে মূদ্রার ছড়াছড়ি। বাংলাদেশের মূদ্রা যারা বিদেশে পাচার করে তাদের বাংলাদেশে থাকার অধিকার থাকতে পারে না। অবশ্য ক্ষমতায় না থাকলে তো থাকতেও পারবে না। এখন খোঁজা খুঁজি চলছে কোন দেশে যাবে তা নিয়ে। কোনো দেশে গেলে নিরাপদ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আপনারা জানেন আমাদের নেত্রী বিনা অপরাধে শেখ হাসিনার নির্দেশে আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত চার বছর ধরে, এখনও তিনি মুক্ত নন। এখনও তিনি চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এর চেয়ে নিষ্ঠুর আচরণ কী হতে পারে, বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুবাই সফলের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, তিনি যতবার বিদেশে যান, একগাদা প্রচারযন্ত্র সাথে নিয়ে যান এবং কর্ম ব্যস্ততা প্রচার করেন। কিন্তু আজ তিনদিন যাবৎ তিনি সেখানে কী করছেন তা জানা যায় না। বিভিন্ন সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে, মানুষের কানে কানে আকাশে বাতাসে নানা কথা শোনা যায়। আমি জানি না সত্য নাকি মিথ্যা। কিন্তু সবাই জানে, শুধুমাত্র আমরা না জানার ভান করে বসে আছি।
তিনি বলেন, এই সরকারের দুঃশাসন গুম, খুন ও মূদ্রা পাচারে জন্য প্রধানমন্ত্রী নোভেল পুরস্কার পেতে পারেন। এটা অপমানের এবং লজ্জার। আমরা সকল জীবের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মানুষ। এই অপমান থেকে মুক্ত হতে হলে এই সরকারের পতন অনিবার্য। এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। দুর্নীতি দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে হলে এই সরকারকে হটাতে হবে।
সম্মেলনে সোলায়মান আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, মোস্তাক মিয়া, বিলকিস জাহান শিরীন, শামা ওবায়েদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ওবায়দুর রহমান চন্দন। এছাড়াও বিএনপি নেতা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জিএম সিরাজ এমপি, মোশাররফ হোসেন এমপি, রেজাউল করিম বাদশা প্রমুখ।