সরকারকে কীভাবে বিদায় করা যায় বিএনপি সেই ইশতেহার তৈরি করছে : গয়েশ্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শনিবার, জুলাই ১৬, ২০২২ ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শনিবার, জুলাই ১৬, ২০২২ ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ
সিনিয়র করেসপডেন্ট
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, অনেকে বলছেন বাংলাদেশের অবস্থা নাকি শ্রীলঙ্কার মতো হবে, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি না। এমন তো হতে পারে বাংলাদেশে যে ধরনের ঘটনা ঘটবে এতে মানুষ শ্রীলঙ্কার ঘটনা ভুলে যাবে। আর কোনো রিঅ্যাকশন নয়, এখন থেকে অ্যাকশন।
শনিবার (১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যশোর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধনী হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবদল এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
সরকারের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, অধিকার আদায়ে কথা বললে জেলখানায় নেবেন? নিতে পারেন কিন্তু আপনারা সেই জেলখানায় যেতে পারেন কি না একটু ভাবেন। লোকে বলে আপনারা নাকি আন্তর্জাতিক আদালতে হাজিরা দিতে চান, সেখানে হাজিরা দিলে মানুষ বলে কি না, কী হয়, আমি তা জানি না। শেখ হাসিনার শেষ ঠিকানা মালদ্বীপ। সেখানে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে অপেক্ষা করছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে যেতে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করছে না বিএনপি। এ সরকারকে কীভাবে বিদায় করা যায় বিএনপি সেই ইশতেহার তৈরি করছে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে যারা নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে বলছেন, আমি বলবো তারা নাস্তিক। আল্লাহর ওপর তাদের কোনো বিশ্বাস নেই।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন কী করবে, কী করছে, তা নিয়ে বিএনপির কোনো মাথা ব্যথা নেই। জাতির মাথা ব্যথা একটাই তাড়াও হাসিনা, বাঁচাও দেশ, জনগণের বাংলাদেশ। তাই নির্বাচন শব্দটা মুখে আনবেন না, নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা নয়। এ দেশে নির্বাচন হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে।
সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, দলীয় সরকার কিংবা শেখ হাসিনাকে রেখে কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনের জন্য বিএনপি প্রস্তুত নয়। বরং কীভাবে এ সরকারের পতন ঘটানো যায় আমরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।
‘বিএনপি একটি পতিত দল’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, জেলখানায় কান ধরে যিনি বলেছিলেন জীবনে আর কোনোদিন রাজনীতি করবেন না, আজ তিনি বলেন বিএনপি পতিত দল। আমার কথা হচ্ছে বিএনপি যদি পতিত দল হয় তাহলে আমাদের নিয়ে আপনাদের এত ভয় কেন? কেন বিএনপিকে মিটিং-মিছিল সভা সমাবেশ করতে দিতে চান না।
আব্বাস বলেন, যদি এত উন্নয়ন করে থাকেন তাহলে ছেড়ে দেন ক্ষমতা, পদত্যাগ করুন। জনগণ খুশি হলে আপনাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে, আমরাও মেনে নেবো। বেশি কিছু তো চাচ্ছি না, আমরা শুধু একটি বিষয় চাচ্ছি সেটি হলো- নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন।
পদ্মা সেতুতে প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবার সেলফি তোলায় সমালোচনা করে বিএনপির এ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও ব্যক্তি শেখ হাসিনা এক নয়, এটা বুঝতে হবে। আমার কথা হলো, নির্দেশনা দিয়ে তা ভঙ্গের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হয় পুরষ্কার নতুবা তিরস্কার পাওয়া উচিত।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ।