সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশের সকল জায়গায় লুটপাট করছে : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শনিবার, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২ ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শনিবার, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২ ১২:২১ অপরাহ্ণ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশের সকল জায়গায় লুটপাট করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে। লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তারা লুটপাটের পেনশন ব্যবস্থা চালু করছে।’
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি যৌথভাবে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, করোনা টিকা নিয়ে সরকার প্রথম থেকে দুর্নীতি করছে। আবারও দুর্নীতির দ্বার উম্মোচনে গণপেনশনের প্রস্তাব দিয়েছে। সবাইকে গণপেনশন কথা বলা হচ্ছে এটার মাধ্যমে আরেকটি লুটপাটের ব্যবস্থা করছে। মানুষ আওয়ামী লীগকে তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার নিজে এবং সমস্ত প্রশাসনযন্ত্রকে দুর্নীতির আখড়া বানিয়ে ফেলেছে। ওয়াসার এমডিকে তিনবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে। এই যে ব্যক্তি বিশেষকে দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। এই দুর্নীতির কারণে পানির মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। কুইক রেন্টাল প্রকল্পে দুর্নীতির কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। এদের জন্য আবার সংসদে দায়মুক্তি আইন করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আইনমন্ত্রী এবং উপদেষ্টার টেলিফোন আলাপ ফাঁস হয়েছে। আমরা জানতে চাই বারবার এই সমস্ত গুলো পরিষ্কার করে বলতে হবে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দূর করতে সরকার জনগণের করের টাকার অপচয় করছে এমন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তোলার জন্য মাসে ২০লাখ ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। কেন লবিসঠ নিয়োগ করেছেন। ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। চতুর্দিকে নড়বড়ে অবস্থা।
তিনি বলেন, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে বেশ কিছু দিন ধরে। আমরা রাস্তায় নেমে গেছি তরুণ সমাজের প্রতি বলতে চাই আপনারা জেগে উঠুন। সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান আসুন আমরা একসাথে আন্দোলন করি এবং আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত করি।
চলমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক সংকট উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এখনো সময় আছে খালেদা জিয়া সহ সকল রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করুন তাহলেই কেবলমাত্র এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম এর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব,আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।