• আজ রাত ৩:০৫, শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
  • shadinkhobor24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

সরকার নয়, তেলের দাম বিক্রেতারাই নির্ধারণ করেন : জোনায়েদ সাকি

নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ: শুক্রবার, মার্চ ৪, ২০২২ ৫:৩৯ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: শুক্রবার, মার্চ ৪, ২০২২ ৫:৩৯ অপরাহ্ণ

 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

সরকার নয়, তেলের দাম বিক্রেতারাই নির্ধারণ করেন বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, ‘বিক্রেতারাই নির্ধারণ করে দেন তেলের দাম ১০ টাকা বাড়বে নাকি ১৫ টাকা বাড়বে। তারা সরকারের অপেক্ষা করেন না। কারণ তারা জানেন সরকার তাদের পেছনেই আছে। একইভাবে অন্যসব পণ্যের দাম বাড়ছে।’

শুক্রবার (৪ মার্চ) বিকাল ৪টায় খুলনা শহরের পিপলস গোলচত্বরে এক শ্রমিক সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন। বিভিন্ন দাবিতে খালিশপুর-দৌলতপুর জুটমিলের যৌথ কমিটির উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে জাতীয় সম্পদ রক্ষা, রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬টি পাটকলে উৎপাদন চালু, খালিশপুর-দৌলতপুর জুট মিলসহ পাঁচটি জুট মিলের শ্রমিকদের ১ জুলাই ২০১৫ থেকে প্রাপ্য বকেয়া বেতন, খালিশপুর জুট মিলের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, নাম ভুলের শ্রমিকদের পাওনা গেটপাস অনুযায়ী পরিশোধ এবং সব শ্রমিকের অন্যান্য পাওনা পরিশোধের দাবি জানানো হয়।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন, মানুষের আয় বেড়েছে, ফলে দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষ নাকি চিন্তিত নয়। এই সরকারের মন্ত্রীরা শুধু মিথ্যাবাদীই নন বরং মানুষের জীবন, কষ্ট ও দুর্দশা নিয়ে তারা তামাশা ও তাচ্ছিল্য করেন। তারা এর প্রতিদান পাবেন। মানুষের এই বাঁচার সংগ্রামই সরকারের ভীত নাড়িয়ে দেবে। সয়াবিন তেলের দাম এক বছরে কোথায় থেকে কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। বিক্রেতারাই নির্ধারণ করে দেন আজ তেলের দাম ১০ টাকা বাড়বে নাকি ১৫ টাকা বাড়বে। তারা সরকারের অপেক্ষা করেন না। কারণ তারা জানেন সরকার তাদের পেছনেই আছে। একইভাবে অন্যসব পণ্যের দাম বাড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, সিন্ডিকেটই নাকি বাজারমূল্য নির্ধারণ করে, তার কিছু করার নেই। তাহলে আপনারা আছেন কেন? গভীরভাবে দেখলে বোঝা যায়, এই সরকার আর সিন্ডিকেটের ভেতর কোনও পার্থক্য নেই। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে যে লুণ্ঠন হয়, সরকারের মন্ত্রীরা সরাসরি তার ভাগ পান। এভাবেই তারা জনগণের পকেট কাটে।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘সরকার পাটকল শ্রমিকদের পেটে লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে। শ্রমিকরা তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের পেটে খাবার দিতে পারছেন না। কারেনাকালে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে ৫০ হাজার শ্রমিককে কর্মহীন করা এবং লক্ষাধিক মানুষকে নতুন করে দারিদ্র্যের মধ্যে ঠেলে দেওয়া এই ফ্যাসিবাদী সরকারের চরম নিষ্ঠুরতার বহিঃপ্রকাশ।’সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কারখানা কমিটির সভাপতি ও সিবিএ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন মনি এবং সঞ্চালনা করেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন খুলনা মহানগর আহ্বায়ক আল আমিন শেখ।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ

error: Content is protected !!
error: Content is protected !!