সিলেটে শেষ মুহূর্তে এসে সম্মেলন ও কাউন্সিলের ভেন্যু পরিবর্তন
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
রবিবার, মার্চ ২৭, ২০২২ ৬:৩১ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
রবিবার, মার্চ ২৭, ২০২২ ৬:৩১ অপরাহ্ণ
ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
সিলেটে শেষ মুহূর্তে এসে সম্মেলন ও কাউন্সিলের ভেন্যু পরিবর্তন করেছেন জেলা বিএনপি’র নেতারা। আলীয়া মাদ্রাসা মাঠ নয়, আগামীকাল মঙ্গলবার সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠে হবে সম্মেলন ও কাউন্সিল। গতকাল কয়েক দফা এ মাঠ পরিদর্শন করেছেন সিলেট বিএনপি’র নেতারা। জেলার নেতারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম মঙ্গোলিয়া ফুটবল টিমের মধ্যে আন্তর্জাতিক খেলা রয়েছে। এ জন্য স্টেডিয়ামের পার্শ্ববর্তী আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে সম্মেলন ও কাউন্সিল আয়োজনে প্রশাসনের তরফ থেকে ইতিবাচক সাড়া মিলেনি। এ কারণে ভেন্যু পরিবর্তন করে সিলেটে রেজিস্ট্রারি মাঠে এ আয়োজন চলছে। গত শনিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে মঞ্চ নির্মাণের কাজ। সিলেট জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার গতকাল বিকালে জানিয়েছেন, রেজিস্ট্রারি মাঠে সম্মেলন ও কাউন্সিলের আয়োজন শুরু করার আগে প্রশাসনকে অবগত করে পত্র দেয়া হয়েছে।
এর পরই মঞ্চ নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কাজ শুরু করা হয়েছে। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শুরু হবে সম্মেলন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন; বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বেগম তাহসিনা রুশদীর লুনা। দুপুর ১২টার পর কাউন্সিল পর্ব শুরু হবে। এজন্য রেজিস্ট্রারি মাঠে পর্যাপ্ত সংখ্যক বুথও নির্মাণ করা হচ্ছে। গতকাল দুপুরে সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সম্মেলনস্থল পরিদর্শন করে এসেছেন। তিনি এ সময় মঞ্চসহ বুথ নির্মাণের নানা নির্দেশনা দিয়ে আসেন। এদিকে সিলেটে জেলা বিএনপি’র কাউন্সিল নিয়ে এবার শুরু থেকেই নানা নাটকীয়তা চলছে। হঠাৎ করে এসে জেলার কাউন্সিলে সভাপতি প্রার্থী হয়েছিলেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ২১শে মার্চ কাউন্সিল হওয়ার কথা থাকলেও ভোটার তালিকা হালনাগাদ নিয়ে বিতর্কের জের ধরে তারিখ পেছানো হয়। তারিখ পেছানোর পরদিনই মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নিজ থেকে কাউন্সিল থেকে সরে দাড়ান। এছাড়া কাউন্সিলে প্রার্থী হলেও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামালের। কাউন্সিলর না হয়ে প্রার্থী হওয়ার কারণে পরবর্তীতে বিএনপি নেতা কামরুল হাসান চৌধুরী ও শাকিল মোর্শেদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। এরপর প্রার্থীদের তালিকা ছোটো হয়ে এসেছে। সভাপতি পদে জেলার সাবেক সভাপতি আবুল কাহের শামীম ও যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুই প্রার্থীই কাউন্সিলরদের কাছে গ্রহণযোগ্য। কাউন্সিলররা জানিয়েছেন- আগামীতে বিএনপি কঠিন সময়ে অবতীর্ণ হতে পারে। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই তারা গ্রহণযোগ্য নেতাই নির্বাচন করবেন। তৃণমূলের নেতারা বিবেচনা করেই প্রার্থী বাছাই করবেন। সাধারণ সম্পাদক পদ- সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান আহমদ চৌধুরী মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। মাঝখানে বছরখানেক বিদেশে থাকার কারণে আলী আহমদের ‘গ্যাপ’ তৈরি হয়েছে। তিনি ফিরে এসে পূর্বের অবস্থানে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে কাউন্সিলরদের মধ্যে। আর এমরান আহমদ চৌধুরী এবার সম্মেলনের আগে থেকেই মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। তিনি ইউনিয়ন ও উপজেলা কাউন্সিলের সময় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। এ কারণে এবারের সম্মেলনে এমরান আহমদ চৌধুরীর অবস্থানও শক্তিশালী। জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়া যুবদলের সাবেক জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান ও সাবেক ছাত্রদল নেতা আফম কামাল প্রচারণায় রয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাবেক ছাত্রদল নেতা লোকমান আহমদ, দক্ষিণ সুরমা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ এবং এডভোকেট মুজিবুর রহমান তিনজনই রয়েছেন আলোচনায়। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাউন্সিলের মাধ্যমে জেলা বিএনপি’র নতুন নেতৃত্ব বাছাই করা হয়েছিল।