• আজ বিকাল ৫:৪৬, সোমবার, ১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৪ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
  • shadinkhobor24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

সিলেট অঞ্চলের লোকজনের পছন্দের শীর্ষে সাতকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ: বুধবার, জুলাই ১৩, ২০২২ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: বুধবার, জুলাই ১৩, ২০২২ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ

 

নিউজ ডেস্ক

সিলেট অঞ্চলের লোকজনের পছন্দের শীর্ষে সাতকরা। লেবু জাতীয় এ ফল দিয়ে গরুর মাংস রান্না করে না খেলে চলে না এ অঞ্চলের লোকজনের। বিশেষ করে কোরবানির ঈদ আসলেই কদর বেড়ে যায় সিলেটের সাতকরার। লেবুজাতীয় এই ফল দিয়ে গরুর মাংস রান্না করা এখানকার অন্যতম ঐতিহ্য। এবারের কোরবানির ঈদে সাতকরার চাহিদা বেড়েছে। ছোট আকারের প্রতি হালি সাতকরা ১০০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বড় আকারের প্রতি হালি সাতকরা ২০০-১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুধু সাতকরা নয়। ঈদে বেড়েছে জারা লেবুর কদরও। ব্যয়বহুল এ লেবু প্রতি হালি ৪০০-১২০০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।

জানা যায়, সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাটের জাফলং ছাড়াও এখানকার পাহাড়-টিলায় চাষ হয় সাতকরা। এটি দেশ-বিদেশে সিলেটি সাতকরা নামে পরিচিত। লেবুগাছের মতো সাতকরার কাঁটাযুক্ত গাছ ২০ থেকে ২৫ ফুট লম্বা হয়। সিলেটে প্রচুর চাহিদার কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের আসাম ও মেঘালয় থেকেও সাতকরা আমদানি করা হয়।

বন্দরবাজারের সাতকরা ব্যবসায়ী বরকত হোসেন জানান, ‘প্রতি বছরের ন্যায় এবারের ঈদে সাতকরার চাহিদা ছিল। প্রচুর পরিমাণ সাতকরা ও জারা লেবু বিক্রি করেছি। প্রতি হালি ছোট আকারের সাতকরা ১২০-২০০ টাকা ধরে এবং বড়গুলো ২০০-১০০০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসা মোটামুটি ভালোই হয়েছে। ঈদের ৩য় দিনেও সাতকরার চাহিদা রয়েছে। আমরা স্থানীয় ও ইন্ডিয়ার সাতকরা বিক্রি করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘ছোট রসালু (কাগজী) লেবুর চাহিদা আছে। এগুলো সব-শ্রেণির লোকজন ক্রয় করলেও জারা লেবু সবাই কেনেন না। কারণ জারা লেবুর দাম বেশি। এ লেবু প্রতি হালি ৪০০-১২০০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। আবার এ জাতীয় অনেক লেবু আছে প্রতিটির মূল্য ৮০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত পড়ে। কাগজী লেবু ১৫-২৫ টাকা ধরে প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে।’


সিলেটের সাতকরার স্বাদ অতুলনীয় উল্লেখ করে সাইদুল নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, সিলেটের সাতকরার চাহিদা দেশজুড়ে। তবে আগের তুলনায় এখন সিলেটে সাতকরা চাষ কম হয়। এজন্য ভারতের করিমগঞ্জ ও মেঘালয় থেকে সাতকরা সংগ্রহ করা হয়। তবে সিলেটের সাতকরার চেয়ে ভারতের সাতকরার মজা কম।

সিলেট নগরের উপশহর এলাকার বাসিন্দা গৃহিণী সুমি বেগম বলেন, ‘সাতকরা ছাড়া কোরবানির মাংস রান্নায় স্বাদ পাওয়া যায় না। মাংসের সাথে সাতকরার একটি বিশেষ মিল রয়েছে। সাতকরার খোসা সবজি হিসেবে মাংস বা মাছের সাথে রান্না করা যায়। সাতকরার খোসা শুকিয়ে ৬-৭ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। মাঝেমধ্যে রোদে দিয়ে শুকিয়ে নিলে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। সাতকরা দিয়ে উৎকৃষ্ট মানের আচার তৈরি করা যায়।’

গোলাপপঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ফজলুর রহমান বলেন, ‘সাতকরা আমাদের সিলেট অঞ্চলে ব্যাপক জনপ্রিয়। গরুর মাংসের সঙ্গে সাতকরা দিয়ে রান্না করলে স্বাদ ও ঘ্রাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে খেতেও স্বাদ মিলে। তাই প্রতি হালি ১২০ টাকা করে ৩ হালি সাতকরা কিনেছি।’

 
 
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ