স্বাধীনতা যুদ্ধের নায়ক হিসেবে শুধু একজনকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বুধবার, মার্চ ২৩, ২০২২ ৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বুধবার, মার্চ ২৩, ২০২২ ১২:১৮ অপরাহ্ণ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
স্বাধীনতা যুদ্ধের নায়ক হিসেবে শুধু একজনকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এতে করে অন্য যারা অবদান রেখেছেন তাদের কী ছোট করা হলো? মোটেও না, যাকে বেশি বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে তিনিই ছোট হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হলো ঘটা করে। সেখানে কোন সেক্টর কমান্ডার, বীরশ্রেষ্ঠদের বীরত্বের কথা তুলে ধরা হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখার জন্য তাজউদ্দীন আহমদের মতো নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের অবদান স্মরণ করা হয়নি। সেখানে শফিউল আলম প্রধানের মতো নেতা কবে-কখন, কোথায় প্রথম স্বাধীন দেশের পতাকা উত্তোলন করেছেন সেটা স্মরণ করার তো প্রশ্নই আসেনি।
বুধবার (২৩ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত ’৭১ এর ২৩ মার্চ বৃহত্তর দিনাজপুরে প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনকারী প্রয়াত নেতা জাগপার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের স্মরণে ও স্বাধীনতার মূলমন্ত্র গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এমন মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, শফিউল আলম প্রধানের রাজনৈতিক চাওয়া-পাওয়ার সঙ্গে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক চাওয়া-পাওয়ার অনেক মিল ছিল। তারা একসঙ্গে রাজনীতি করেছেন। দেশের নানা সংকটে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন।
দেশের এই অবস্থায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামার আহবান জানিয়ে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই আন্দোলন হবে গণতন্ত্রের আন্দোলন। দেশে নানা ধরণের ষড়যন্ত্র হয়েছে, হচ্ছে। এটা জনগণ জানে। সুতরাং যারা ষড়যন্ত্র করছেন এবং করার চেষ্টা করছেন। তাদের উচিৎ জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে জনগণের ক্ষমতা তাদের কাছেই ফিরিয়ে দেওয়া। কারণ জনগণই ক্ষমতার মূল নায়ক ও রাষ্ট্রের মালিক।
রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন চাই উল্লেখ করে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা কোন দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচনে যাব না। বিএনপিসহ ২০ দল মিলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে আমরা যাব না। আমরা নির্দলীয়, নিরপেক্ষ এবং প্রশাসনের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন চাই। সেই নির্বাচনে জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে তারাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।
জাগপার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাতের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান। সভায় জাগপার বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী ও ২০ দলীয় জোটের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য দেন।