স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সোহেল হত্যা এক যুগেও বিচার পায়নি স্বজনরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শনিবার, মার্চ ১৯, ২০২২ ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শনিবার, মার্চ ১৯, ২০২২ ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ
এম আর কামাল, স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : ২০১০ সালের ১৯ মার্চ কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শেখ মোঃ সোহেল কে। হত্যাকান্ডের এক যুগ হলেও আজো সম্পন্ন হয়নি বিচার কার্য। ফলে প্রকাশ্যে ঘুরে ফিরছে নিজ দলীয় ঘাতকরা। ফলে ভয়ে আছে মামলার স্বাক্ষীরা। এমন পরিস্থিতিতে মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত নিহতের স্বজনেরা।
সোহেল হত্যাকান্ডের একদিন পর ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিহত সোহেলের জানাযায় অংশ নিতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রভাবশালী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছিলেন, যারা সোহেলকে হত্যা করেছে সে সকল হত্যাকারীদের সাথে কোন আপোষ করা হবেনা এবং কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
অতি দ্রুত সকল ঘাতকদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। কিন্তু হত্যকান্ডের এক যুগ হলেও এখনো বিচার পায়নি নিহতের স্বজনেরা। স্বজনদের দাবি, দল ক্ষমতায় থেকেও যখন বিচার হচ্ছেনা তবে এ বিচার হবে কবে?।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের দলীয় গস্খুপিং, দ্ধন্ধ ও এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০১০ সালের ১৯ মার্চ দুপরে প্রকাশ্য দিবালোকে দাপা আদর্শ স্কুুলের গেইটের বিপরীতে তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাহারা বেগম কবরীর আর্শীবাদপুস্ট সন্ত্রাসী ব্যাংক ডাকাত হিটলার, বাবু, মমিন, রনি, সেন্টু, কানা সুমন, ফুয়াদ, ডাকাত খেলাফত, আবুল, ডাকাত আব্দুল সহ প্রায় ৩০/৩৫জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সোহেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে প্রকাশ্যে নির্মম ভাবে হত্যা করে।
এ সময় ঘাতকচক্র নিহত সোহেলের জসিমকে কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে সেফটি ট্যাংকের ভিতর ফেলে রাখে। নিহত সোহেলর স্বজন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ঘাতকচক্র ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে সোহেল ও জসিমকে উদ্ধার করে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সোহেলকে মৃত ঘোষনা করে।
অপরদিকে জসিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জসিম বেচেঁ থাকলেও মাথার ক্ষত বয়ে বেড়াতে হচ্ছে তাকে।
নিহত সোহেলের সহোযোগিদের দাবী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের তৎকালীন এমপি সাহারা বেগম কবরীর আর্শীবাদপুস্ট সন্ত্রাসীদের এলাকায় মাদক ব্যবসা, ডাকাতিসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বাধা হয়ে দাড়িয়েছিলো বলেই তাকে নির্মম ভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয়।
সেদিনের হামলায় বেঁচে যাওয়া জসিম জানায়, বিচারের নাম করে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা সোহেলকে। তাকেও হত্যা করতে চেয়েছিলো। আমি বেঁচে যাই। তবে সেদিনের আঘাতের ক্ষত আজোঁ তাকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
এদিকে সোহেলের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (১৯ মার্চ) বিকেলে ফতুল্লা রেল ষ্টেশন বাজার, ব্যাংকলোনী, তক্কার মাঠ এলাকায় মিলাদের আয়োজন করেছে যুবলীগ নেতা-কর্মীরা।