১৯৭৫ এর মহান ৭ই নভেম্বর ও প্রক্ষাপট
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
মঙ্গলবার, নভেম্বর ৮, ২০২২ ১২:৫১ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
মঙ্গলবার, নভেম্বর ৮, ২০২২ ১২:৫১ পূর্বাহ্ণ
নজরুল ইসলাম চৌধুরী
আজ ৪৭তম মহান ৭ই নভেম্বর । জাতীয় জীবনে এটি একটি ঐতিহাসিক দিন ” মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস” । জাতীয় জীবনে এই দিনটি খুবেই তাৎপর্য্যপুর্ন ও বৈশিষ্ট্য মন্ডিত । এই দিন মহান স্বাধীতা পরবর্তি নানাহ প্রেক্ষাপটের প্রেক্ষিতে ১৯৭৫ এর এই দিনে দেশের চীর উন্নত মমশীর জাতীর গর্ব ও অহংকার সেনাবাহীনি ও সর্বস্তরের জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাবেদারী ও পরাশক্তিকে পরাস্থ করার দিন। দেশের এক শ্রেনীর তাবেদারী ও ভৃতাত্ববাদীতে বিশ্বাসী সড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে দেশের গৌরবময় সেনাবাহিনী কে নিশ্চিত ধ্বংশের হাত থেকে রক্ষা করার দিন হলো মহান ৭ই নভেম্বর । ঐ সময়ে যদি সড়যন্ত্রকারীদের ন্যাক্কারজনক উদ্দেশ্য সফল হত তা হত নিশ্চিত মহান স্বাধীতা বিপন্ন হয়ে পরত। মহান শিপাহী জনতার সেদিনের ঐতিহাসিক বিপ্লব নিয়ে দেশী বিদেশী অনেক সক্লার বিভিন্ন বই লিখেছেন। এমেরিকার বিক্ষাত লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক “উইলিয়াম বি মাইলাম , ব্রটিশ বিশ্লেষক ” ডেবিট রুইস” সহ আরো প্রক্ষাত চিন্তাবীদ , রাজনৈকি বিশ্লেষক তাদের লিখনিতে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন। যে ব্যখ্যা ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহা সংকট এবং বিপর্যয় ।
বিগত ১/১১ পরবর্তি দিনে তথাকথিত মইন – ফখরুলবর সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার পরা শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে সর্বপ্রথম এই মহান জাতীয় দিবসটিকে অবমাননা করেছে। যারা মহান সংবিধানকে পদদলিত করে অবৈধ ভাবে দেশী ও বিদেশীর শৃষ্ঠ নিল নকশায় দেশের গনতন্ত্র ও জাতী সত্বাকে দীর্ঘ ১৮ মাস ক্লিনিক্যাল ডেথ করে রেখে দিয়েছিল। জাতীয় জীবনে এই মহান দিনটিকে সেই মইন – ফখরু কেন ফ্রিজাআপ করে রেখেছিল তা ২০০৮ এর পরের প্রেক্ষাপট নিরব সাক্ষী । স্বৈরাচারী কৌশলের কারনে দেশের জনগন গনতন্ত্রিক অধীকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার পথকে সুগম করেছিল। যাহা সেই ২০০৮ সাল থেকে আজকে দিন পর্যন্ত প্রতিয়মান । বড়ই পরিতাপর বিষয় যে সেই ২০০৮ পরবর্তী সময় থেকে আজ অবধী স্বৈরাচারতা দিনে দিনে ফ্যাসিস্ট ও ডন মাফিয়ার সরকারে পরিনত হয়ে দেশ চলছে এক ভয়াবহ শ্বাস রুদ্ধকর অবস্থা। নেই কথা বলার অধীকার , নেই নুঃনতম বাক শক্তি , নেই রাজনৈতি চর্চা। হাঁ সেই ১৯৭০সালে থেকে আমি দেশের রাজনৈতিক পরিমন্ডলে পদার্পন করার পর এই নাতী দীর্ঘ অভিজাতার আলোকে বলছি – দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ক্লান্তি কালের জন্য একমাত্র দায়ী হল প্রজ্ঞা , মেধা , যোগ্য আগ্যের , সংগঠক – অসংগঠক ভেদ বিছার না থাকর কারনেই দেশের রাজনৈকি প্রেক্ষাপটে দেশপ্রেম হীন রাজনৈতিক আগাছা উত্থান এবং বর্তামান ফ্যাসিস্ট বাদে দেশ জাতী ও দেশের রাজনীতি আজ নির্বাসনে পড়ে আছে।
সম্মানিত পাঠক বৃন্দ সেই ছোটবেলা থেকে অপ্রিয় সত্যকে তুলে ধরাকে নিজের নীতি নৈতিকতা সৎ সাহস হিসাবে রপ্ত করেছি আর তাই সৎ সাহস নিয়ে সত্যকে তুলে ধরার চেষ্টা আজো অব্যাহত।
আসা যাক মূল লক্ষ্যে — পাঠক বৃন্দ আপানদের একটি প্রশ্ন আমার দিকে আসতে পারে যে , ৭৫ পরবর্তী সময় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কোন দিনেই পালন করেনি এবং করবে না। হাঁ আমি আপনাদের সাথে শতভাগ একমত পোষন করছি । কিন্তু না বললেই নয় – এই দিনকে যদি আওয়ামীলীগ স্বীকৃতি দিয়ে থাকে তা হলে স্বাধীনতার পরবর্তিত পটভূমির তারাই তাদের দলকে এবং নিজেদেরকে রাস্ট্রদ্রোহী হিসাবে চিহ্নিত করতে হবে।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ কালিন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একজন সাহায্যকারী ও ইনফর্মার কিশোর গ্যারিলা হিসাবে স্বাধীনতা যুদ্ধ বিরোধীদের সাথে আমার কোন আপোষ ছিলনা , আজো নেই এবং আমরন থাকবে না। এটি হলো আমার স্বাধীকার। তদরুপ মহান ৭ই নভেম্বর কেন , কাদের কারনে সৃষ্টি তা বিচার বিশ্লেষ থেকে দুনিয়ার কোন অপশক্তি আমাকে দাবিয়ে রাখতে পারবেনা। দেশের কোন প্রেক্ষাপট এবং কাদের কারনে সেই সময়ে দেশের দেশের গর্বিত সেনা কর্মকর্তা ও জোয়ানদের খুন হতে হয়েছে? যাদের সড়যন্ত্রে ও ব্যর্থতায় এ দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হয়ে একটি তাবেদারী রাস্ট্রে পরিনত হওয়ার পথ তৈরী হয়েছিল আমার রাজনৈতিক ও দেশপ্রেমের চেতনার অবস্থান থেকে আমি ঐ সকল পরা শক্তির পুজারী ও দাস দাসীদের সাথে সেই মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী চক্রের চাইতে আরো কঠিন এবং কঠোর ভাবে আপোষহীন । গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি সেই মহান ৭ই নভেম্বরে যারা আত্বহোতি দিয়ে পরা শক্তির কবল থেকে বিপন্নের হাত থেকে দেশের মহান স্বাধীতা স্বার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছেন তাদের বিদেহী আত্বার প্রতি । মহান রাব্বুল আল্ আমিনের দরবারে তাদের আত্বার মাগফেরাত কামনা করছি ।
এ দেশের গৌরবময় সেনাবাহিনী ধংস করে বাংলাদেশকে নব্য হায়নার নিয়ন্ত্রিত কলনীতে রুপান্তরিত করে পরা শক্তির রিমোর্ট কন্ট্রোলের স্থায়ী সরকার হবার দেশদ্রোহীরা কি বসে আছে ? না ওরা বসে নেই ।পািলখানায় বিডিয়ার হত্যা কান্ডের মধ্যদিয়ে তার প্রমান দেশ জাতীর নিকট স্পষ্ট ।
সেই মহল এখনো স্বাধীনতাকে বিপন্ন করার জন্য সদা জাগ্রত আছে। সত্যিকার অর্থে বিডআর হত্যা কান্ডের নামে দেশের গর্বিত সেনাবাহিনী জাতীর গর্বিত চীর উন্নত মমশীর কে সমুলে ধংশ করার সড়যন্ত্র নয় কি ? বিডিআর হেড কোয়াটারে মানুষ নামের আজরাইলের হাত থেকে বাঁচার জন্য ৫৭ জন চৌখুশ সেনা কর্মকর্তা গং সরকার প্রধানের কাছে টেলিফোনে প্রান ভিক্ষা চেয়েও ভিক্ষা পায়নি। শুধু আমার নয় দেশের সকল দেশ প্রেমিক নাগরীকদের মনের আদালতে কে বা কারা দায়ী এবং কোন অপ শক্তির এ্যাজেন্ডা ওরা বাস্তবায়ন করেছে তা নক্ষত্রের মত স্পষ্ট । একটু পেচনে না গেলে নয় – যে কারা এই পথ সৃষ্টি করেছে । দেশের তখনকার সেনা প্রধান কে কারা আমন্ত্রণ করে লাল গালিচা বিচিয়ে উষ্ঞ সংবর্ধনা দিলেছিল ? কারা ঘোড়া উপঢৌকন দিয়েছিল? যে উপঢৌকন নিয়ে দেশে ফিরেই সেই সেনা প্রধান মইন ইউ আহমেদ মহান বিপ্লব ও সংহতি দিবস কে পদদলিত করেন । রক্ষক যদি বক্ষক হয় যা হবার তাই হয় এবং হয়েছে । মনে পড়ে সেই বাংলার নবাব সিরাজ উদদৌলার আমলের কথা । হায় রে মীর্জাফর তুই এখনো ইবলিশ শয়তানের মতই আমাদের কারো কারো শিরায় উপশিরায় মিশে আছিস। বড়ই পরিতাপর বিষয় যে দেশের রাজনৈতিক গং তা অনুধাবন কতখানি করে তা আমার প্রশ্ন – – –
একটি প্রবোধ নিয়ে বেচে আছি –
একটি প্রবোধ নিয়ে বেচে আছি – আমাকে আপনাকে এবং সবাইকে দেশের দেশাত্মবোধ জাগ্রত রেখে যুগ যুগ ধরে সতর্কতার সাথে কোন রাজনিতিকদের দিকে তাকিয়ে না থেকে স্ব স্ব চোখ কান খোলা রেখে দেশের অর্যিত স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার মরনপণ অতন্দ্র প্রহরীর মতই থাকতে হবে।
সেই ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমন একদল একনেতার শাষন ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠা করার পর পরই ১৫ অগাষ্ট তাঁর হত্যার গঠনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশর রাজনীতি আরেকটি অন্ধকার গহব্বরে প্রবেশ করেছিল। ওটা ছিল একটি পরা শক্তির পরিকল্পিত সেনা অভ্যুত্থান । দেশের সেনাবাহিনী ও দেশের মুক্তিযোদ্ধারা এদেশের সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ সন্তান। এ বিষয়ে মনে হয় আমার সাথে কারোই দ্বীমত পোষন হবেনা। কোনই সন্ধেহ নেই যে , ৭ ই নভেম্বর দেশ প্রেমিক স্বল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা দ্বারা সংগঠিত। শুধু মাত্র ৭ই নবেম্বর ও ৩রা নভেম্বর অভ্যুত্থান নয় ১৫ অগাষ্টের নির্মম দুর্ঘটনার নায়কও ছিলেন দেশের মুক্তিকামী যোয়ানরা। ১৫ অগাষ্ট এর হত্যাকান্ডের পেচনে কিছু মুক্তিযুদ্ধা ছাড়াও তখনকার ক্ষমতাধর আওয়ামীলীগের অনেক নেতারাই জড়িত ছিল। বংগবন্ধুর মত জন নন্দিত নেতার নির্মম মৃত্যুর পর শুধু তাঁর দাফনের পুর্বেই লাস ডিংগিয়ে আওয়ামীলীগের অনেক নেতা রাস্ট্রিয় ক্ষমতায় শপথ নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ছুটে গিয়েছিল। আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা খন্দকার মোস্তাকের গঠিত সরককরে মন্ত্রী পরিষদে শপথ নিয়েনিয়েছিল। শেখ মজিবুর রহমনের মন্ত্রী পরিষদের ১৯ জন মন্ত্রীর মাঝে ১১ জন মন্ত্রী ও ৯ জন প্রতি মন্ত্রীর মাঝে ৮ জন প্রতি মন্ত্রী মোস্তাকের মন্ত্রী পরিষদে শপথ নিয়েনিয়েছিল । খন্দকার মোস্তাক আহাম্মদ সরকারের পক্ষে তখন অনেক আওয়ামীলীগ নেতা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে সোবিয়েত ও ইউরোপ ইউনিয়নের কাছে কম ছুটাছুটি করেননি। কি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল , ১৫ ই অগাষ্ট থেকে ৭ই নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের তা বলার অপেক্ষা রাখে না। খালেদ মোশারফ ছিলেন একজন কৃতিমান মুক্তিযোদ্ধা । যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের ২ নং সেক্টরের যুদ্ধে সাহসী ভুমিকার জন্য বীর উত্তম খ্যাতি অর্যন করেছিলেন। তার ঘনিষ্ঠ সহকর্মী ছিলেন কর্নেল শাফায়াত জামিল। ৩রা নভেম্বর ঢাকা ব্রিগেডের ছায়াতে বংগভবন ব্যাতিত প্রতিটি গুরুত্বপুর্ন স্থানে অবস্থান গ্রহন করেছিলেন। বড়ই পরিতাপর বিষয় ছিল যে , ১৯৭১ এর ক্লান্তিকালে দেশের আরেক অপোষহীন ভীষন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা তদকালিন মেজর জিয়া পাকিস্থানিদের সাথে রিভোল্ট ঘোষনা দিয়ে চট্রগ্রাম কালুরঘাট অস্থায়ী বেতার কেন্দ্র থেকে মহান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধের সুচনা করেছিলেন। তাঁর অসাধারন কৃতিত্বের জন্য স্বাধীনতা পরবর্তি জাতি তাকে বীর উত্তমে ভুষিত করেছিলেন। পরবর্তিতে সেনাবাহীনির প্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমানকে চীফ অফ আর্মি ষ্টাফ পদ থেকে পদচ্যুত করে ৩রা নভেম্বর রাত ১টায় গৃহ বন্ধী করে ব্রিগিডিয়ার খালেদ মোশাররফ নিজেকে জেনারেল পদে উন্নীত করে সামরীক প্রধানের দায়াত্বভার ঘোষনা করেন। খন্দকার মোস্তাক কে পদত্যাগ করিয়ে ব্রিগিডিয়ার খালেদ মোশারফ বিচারপতি এ এম সায়েমকে রাস্ট্রপতি নিয়োগ দেন ও মন্ত্রীসভা বাতিল করেন। দেশে খালেদ মোশাররফ প্রথম সামরীক আইন জারি করেন এবং ঐ সময়ে সড়যন্ত্রের রোশানল অসহায় কারাবন্ধী দেশের প্রথম প্রধান মন্ত্রী তাজ উদ্দিন আহমেদ সহ চার নেতার আরেক নির্মম হত্যা ঘটায়। ঐ সময় খালেদ মোশাররফ ১৫ই অগাষ্ট অভ্যুত্থানকারীদের দেশ ত্যাগ করার সুযোগ করে দেন। ব্রিগিডিয়ার খালেদ মোশারফের অভ্যুত্থান টি ছিল খুবেই স্বল্পদিনের স্থায়ী। যে অভ্যুত্থান টি আরোপিত হয়েছিল ভারত পন্থী হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল। ৫ই নভেম্বর দেশে অনেক সেনানিবাসে লিপলেট বিতরন করা হয়েছিল সৈনিকদের মানসিক ভাবে প্রস্তুত রাখার চেষ্টা করেন। কেননা সামরীক কর্মকর্তদের অভ্যুত্থানে সাধারন সৈনিকরা মোটেই আগ্রহ ছিলনা। তাই যথাসময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সাধারন সৈনিকরা বিন্দুমাত্র পিচপা হয়নি। আলোচনা সমালোচনার উর্ধ্বে ঐ সময়ের পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কর্নেল তাহেরর ভুমিকা শিকার না করলে সত্য কে লুকিয়ে রাখা হবে। কর্নেল তাহের ১১ নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে অসাধারন কৃতিত্ব অর্যন করেন । কমলাপুর মুক্তিযুদ্ধে তিঁনি পাঁ হারিয়ে পংগু হয়েছিলেন। মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাসে তিনি ও একজন খ্যাতিনামা মুক্তিযুদ্ধা ছিলেন । কর্নেল তাহেরের বিচক্ষণতায় ঐ সময়ের দ্রুত পদক্ষেপের কারনেই বন্ধী জেনারেল জিয়া মুক্তি লাভ করেছিলেন। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে , কর্নেল তাহেরের সেই বিচক্ষণতা ও সাহসী পদক্ষেপ সত্বেও তাঁর পরিকল্পনা কেন সফল হয়নি তা নূতন প্রজন্মের আজো অজানা। এই ক্ষুদ পরিসরে সেই ব্যাখ্যা দেয়া খুবেই দরুহের। ৭ই নভেম্বর সিপাহী জনতার বিল্ববের ফলে ব্রিগিডিয়ার খালেদ মোশারফ দিক বিদিক জ্ঞান শুন্যতায় হচলিত হয়ে পড়েন। এবং বংগ ভবন দখল ছেড়ে ঢাকা ত্যাগ করার সময় শের বাংলা নগরের নিকট বিপ্লবী সৈনিক ও উচ্ছাসিত সাধারন জনতার হাতে নিহত হন।
এদিকে বিপ্লবী সেনারা জনতার সাথে কাঁদ মিলায়ে বিপ্লবের ফলে বন্ধী জিয়াকে মুক্ত করে সোজাসুজি দেশের ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে পৌঁছিয়ে দিয়েছিলেন।
৭ই নভেম্বর শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কারো আশির্বাদ কিম্বা কোন নিল নকশায় পেচনের দরজা দিয়ে দেশের ক্ষমতায় আসেন নাই। ৭ ই নভেম্বরের পরে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবির্ভাব হয়েছিলেন জাতীয় স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা , গনতন্ত্রের পুঃন প্রতিষ্ঠা করে উৎপাদনের ভিত্তিতে দেশ ও জাতীকে বিশ্বের মানচিত্রে সকল গ্লানি ধুয়ে মুছে নিজ সত্ত্বা নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশৃঙ্খল সেনাবাহিনী কে সুশৃঙ্খলতায় ফিরিয়ে এনেছিলেন । কালক্রমে দেশ জাতী ও গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থা কে পুনঃ প্রতিষ্ঠা সমৃদ্ধশালী জাতী হিসাবে পরিচয় লাভ করার জন্য বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের এক পথ পদর্শক রুপে শহীদ জিয়ার আগমন ছিল মহান রাব্বুল আল্ আমিনের অশেষ রহমত ।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ই নভেম্বর ছিল শিপাহী জনাতার বিপ্লব ও সংহতির মহান দিবস। মহান ৭ই নভেম্বর এখন নয় শুধু যুগ যুগ ধরে এই দিন ও বিপ্লবের গুরুত্ব যথার্থ বিশ্লেষনে মূল্যায়িত হবে বলে আমার বিশ্বাস । মহান ৭ ই নভেম্বরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক ৭ই নভেম্বর দেশে বহু দলিয় গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এবং জাতীর গর্বিত সেনাবাহিনীকে নিশ্চিত ধংশের হাত থেকে রক্ষা করে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ পঃন প্রতিষ্ঠার দিন।
হে মহান ৭ই নভেম্বর তুমি চিরজীবী হও এবং চির আমর হও।
লিখক পরিচিতি— নজরুল ইসলাম চৌধুরী । কলামিষ্ট
ও
সাবেক সভাপতি ফেনী জেলা ছাত্রদল।
সাবেক প্রচার সম্পাদক ফেনী জেলা বি এন পি ।