• আজ সন্ধ্যা ৬:১৬, রবিবার, ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
  • shadinkhobor24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

৪১ নৌকা ভাসিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ: রবিবার, মার্চ ২৭, ২০২২ ৪:২৯ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: রবিবার, মার্চ ২৭, ২০২২ ৪:২৯ অপরাহ্ণ

 

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
মহান স্বাধীনতা দিবস বিশেষভাবে উদযাপন করতে বর্ণিল সাজে নৌকা সাজিয়ে পদ্মায় ভাসিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেয় ৪১ জেলে। শনিবার (২৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলেরা তাদের নৌকা নিয়ে নড়িয়ার মুলফৎগঞ্জ ঘাটে আসেন। ৪১টি নৌকা নড়িয়া নদীরক্ষা বাঁধ ঘেঁষে নোঙর করে রাখা হয়।
বিভিন্ন রঙের বেলুন, জাতীয় পতাকা, আওয়ামী লীগের দলীয় পতাকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি দিয়ে নৌকাগুলো সাজানো হয়। ওই ৪১ জেলে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাদের ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
নড়িয়ার ঘড়িসার ইউনিয়নের হালিসার গ্রামের বাসিন্দা আবু তাহের আকন ও কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দুলারচর গ্রামের বাসিন্দা জাহানুল্লাহ প্রামানিকের বসতভিটা পদ্মা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে চার বছর আগে। বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব আবু তাহের ও জাহানুল্লাহ মাছ শিকারের কাজ শুরু করেন। তিনিও তার ভাইকে নিয়ে নৌকা সাজিয়ে আসেন অনুষ্ঠানে।
জাহানুল্লাহ, রতন ও আবু তাহের বলেন, আমাদের মতো হাজারো মানুষ পদ্মার ভাঙনে নিঃস্ব। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে নড়িয়ায় ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এ কারণে নদীভাঙন থেমেছে। তাইতো স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ‘জয় বাংলা এভিনিউ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমরা ৪১টি নৌকা বর্ণিল সাজে সাজিয়ে এনেছি। দোয়া করি প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘজীবী হন।
ঘড়িসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন মুন্সী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রীর কারণেই ভাঙন রোধে বাঁধ হয়েছে। বাঁধকে সৌন্দর্য ও নান্দনিক করতে জয় বাংলা এভিনিউ, সোডিয়াম বাতি ও ঝাউগাছ লাগানো হয়েছে। আজ জয় বাংলা এভিনিউর উদ্বোধন। তাই অনুষ্ঠানটি আরও সুন্দর করতে পদ্মায় নৌকা ভাসিয়ে যোগ দিয়েছেন জেলেরা।
নড়িয়ার কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ান বলেন, আমরা দুর্গম চরের মানুষ। চারদিকে নদী আমাদের উন্নয়নে বাঁধা সৃষ্টি করেছিল। সেই উন্নয়নবঞ্চিত চরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মার তলদেশ দিয়ে পৌঁছেছে বিদ্যুৎ। নদীভাঙন রোধে নির্মাণ করা হয়েছে বাঁধ। এসব উন্নয়নকাজের জন্য শেখ হাসিনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হক শামীম বলেন, আমি নিজেও নদীভাঙন এলাকার মানুষ। নদীভাঙনের শিকার মানুষের কষ্টটা আমি বুঝি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নজরদারি ও সার্বিক সহযোগিতায় দীর্ঘ ৫০ বছরের ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়েছে। আমি নড়িয়া-সখিপুর তথা শরীয়তপুরবাসীর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
স্বাধীন খবর ডটকম/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ