৭ই মার্চ উপলক্ষে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
সোমবার, মার্চ ৭, ২০২২ ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
সোমবার, মার্চ ৭, ২০২২ ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বেসরকারী পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষার পথপ্রদর্শক,দেশের প্রথম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে র্যাংকিং এ প্রথম স্থান অর্জনকারী নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
১৯৭১ সালের এ দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। কালজয়ী ভাষণে বজ্রকন্ঠে তিনি ঘোষণা করেন “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বান বিদ্যুৎ বেগে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। স্বাধীনতার স্বপ্নে জেগে ওঠে পুরো জাতি। ক্ষেত্র প্রস্তুত হয় স্বাধীনতা সংগ্রামের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কালজয়ী এ ভাষণ পৃথিবীর অন্যতম সেরা রাজনৈতিক ভাষণগুলোর একটি। এ ভাষণের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি আজ সোমবার, ৭ই মার্চ ২০২২ ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনসহ সকাল ১১:৩০ মিনিটে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
টিভি উপস্থাপক এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ অফিস এর পরিচালক জনাব জামিল আহমেদ এর সঞ্চালনায় উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. ইসমাইল হোসেন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব আজিম উদ্দিন আহমেদ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইতিহাস ও দর্শন বিভাগ এর অধ্যাপক ড. শরীফউদ্দিন আহমেদ।
অধ্যাপক ড. শরীফউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ এখন শুধু বাঙ্গালিদের জন্য নয় সারা বিশ্বের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ। ৭ই মার্চের ভাষণের তাৎপর্য অনুধাবন করে জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেসকো এ ভাষণকে ৩০ অক্টোবর ২০১৭ বিশ্ব–ঐতিহ্য সম্পদ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। মাত্র ১৯ মিনিটের এ ভাষণে ২৮ বছরের বাঙ্গালির উপর অত্যাচার ও শোষণের ইতিহাস উঠে এসেছে এবং বাঙ্গালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা ফুটে উঠেছে। এ ভাষণের মাধ্যমে তিনি আমাদের দেশ পরিচালনার সব দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমাদের মনে রাখতে হবে, ইতিহাস চর্চার বিষয়, চর্চা না করলে ইতিহাস হারিয়ে যায়। আমাদের দেশের ইতিহাস জানতে হলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে, আমাদের বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কে জানতে হবে তা হলেই আমরা জাতি হিসেবে একটি সমৃদ্ধশালী জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারব”।
অধ্যাপক ড. এম. ইসমাইল হোসেন বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ এর ভাষণেই এদেশ পরিচালনার সব দিকনির্দেশনা বিদ্যমান ছিল এবং আজ এদেশের যত উন্নয়ন ও আগ্রগতি হচ্ছে তা সবই বঙ্গবন্ধুর অবদান। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন সাধারণ মানুষের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন এবং একটি সোনার বাংলা তৈরির জন্য অকিলান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে”।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব আজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ এর ভাষণই পরবর্তীতে আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের প্রেরণা জুগিয়েছিল। এ ভাষণ সুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধের সময় অনুপ্রেরণা দিয়েছে তা নয়, এ ভাষণ আজও আমাদের সব ধরনের অন্যায় অবিচার রোধ করে সুন্দর দেশ গঠনের অনুপ্রেরণা দেয়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন দেখেছিল একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ। তিনি বাংলাদেশের মানুষের মাঝে মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বিশ্বসভায় আমরা আজ একটি উন্নয়নশীল মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। আমি নতুন প্রজন্মের কাছে আহ্বান জানাব তোমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে একজন একজন পরিপূর্ণ বাঙ্গালি করে নিজেদের গড়ে তুলবে এবং দেশ গঠনে ভূমিকা রাখবা”।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ, অধ্যাপক ড. এবিএম রাশেদুল হাসান, স্কুল অব বিজনেস এন্ড ইকোনোমিক্স এর ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী, স্কুল অব হিউম্যানিটিস এন্ড সোস্যাল সায়েন্সেস এর ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুর রব খান, স্কুল অব হেলথ এন্ড লাইফ সায়েন্সেস এর ডিন, অধ্যাপক ড. হাসান মাহমুদ রেজা, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স অফিসের পরিচালক অধ্যাপক ড. গৌর গোবিন্দ গোস্বামী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, কর্মকর্তাবৃন্দ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ ।