৭ মার্চ যারা পালন করে না, তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না
নিজস্ব প্রতিবেদক, স্বাধীন খবর ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
সোমবার, মার্চ ৭, ২০২২ ১:০৪ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
সোমবার, মার্চ ৭, ২০২২ ১:০৪ অপরাহ্ণ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ৭ মার্চ যারা পালন করে না তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না।
সোমবার (৭ মার্চ) সকালে ৭ মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ১৯৭১ সালে ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তর করেছিলেন। ইতিহাসের পাতায় এটি একটি অসাধারণ ভাষণ। আজকে যারা ৭ মার্চকে স্বীকার করে না তারা আসলে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বে কতটুকু বিশ্বাস করে, সেটি নিয়েই প্রশ্ন দেখা দেয়।
‘বিএনপিসহ তাদের দোসররা ৭ মার্চ পালন করে না অথচ ৭ মার্চকে অস্বীকার করে আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধ হয় না, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম হয় না। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এখনো দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বিদেশে বসেও ষড়যন্ত্র করছে। আমি দেশবাসীকে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।’
পরে সন্ধ্যায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মন্ত্রী।
সেখানে তিনি বলেন, এই ভাষণে জাতির পিতা কার্যত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তা এমনভাবে করেছেন, যে পাকিস্তানি শাসকদের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না। এই ভাষণ শুধু বাঙালিকেই মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত করেনি, বিশ্বের সব মুক্তিকামী মানুষের জন্য এটি পথের দিশারী।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজান উল আলমের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন। এছাড়া বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া স্বাগত বক্তব্য এদন।
এসময় একুশে পদকপ্রাপ্ত ৭ মার্চের ভাষণ ক্যামেরায় ধারণকারী আমজাদ আলী খন্দকারসহ মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।